|
|
|
|
মেদিনীপুর পুর-নির্বাচন |
শরিকি দ্বন্দ্বের মধ্যেই ফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের আবহেই মেদিনীপুর পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের কৃষক ভবনে ওই তালিকা প্রকাশের সময় সিপিআই, আরএসপির মতো শরিক নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না কোনও ফব নেতা। সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সীর মন্তব্য, “ওঁদের আসার কথা ছিল। আসেননি!” যাঁদের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের কয়েকজনও অনুপস্থিত ছিলেন। ফ্রন্টে এমনটা সাধারণত হয় না। কেন সকলে আসেননি? কীর্তিবাবুর দাবি, “কয়েকজন আসতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন। ওঁদের অন্য কাজ রয়েছে!”
এ দিন সব আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণাও করতে পারেনি বামফ্রন্ট। ১৮টি ওয়ার্ডের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। ফ্রন্টের পক্ষে কী এ বার পুরসভার ক্ষমতা দখল করা সম্ভব? শহর জোনাল সম্পাদকের মন্তব্য, “এটুকু বলতে পারি, তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। আমরা যাঁদের প্রার্থী করেছি, তাঁরা মানুষের সঙ্গেই থাকেন।” |
|
বামেদের প্রার্থী তালিকা। |
জোনাল সম্পাদক ছাড়াও তালিকা প্রকাশের সময়ে ছিলেন সিপিএমের জেলা নেতা বিজয় পাল, জোনাল নেতা সারদা চক্রবর্তী, হিমাদ্রী দে প্রমুখ। ছিলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান নাজিম আহমেদ। প্রত্যাশিত ভাবে এ বারও নাজিম আহমেদের দল মেদিনীপুর বিকাশ পরিষদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে ফ্রন্ট। বিকাশ পরিষদ শুরুতে ৫টি আসন দাবি করে। সিপিএম নেতৃত্ব এর মধ্যে ২টি আসন ছাড়তে সম্মত হন। আগে মেদিনীপুরে ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে এ বার ওয়ার্ড সংখ্যা হয়েছে ২৫টি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সিপিআইয়ের জন্য ৪টি আসন বরাদ্দ হয়। ফব-র জন্য ২টি। এবং আরএসপির জন্য ১টি। দল সূত্রে খবর, সিপিআই শুরুতে ৮টি আসন দাবি করে। ফব ৫টি। আরএসপি ২টি। শেষমেশ, গতবার যে ভাবে আসন বন্টন হয়েছিল, এ বারও তা হয়েছে। সিপিআই ৪টি, ফব ২টি এবং আরএসপি ১টি আসন পেয়েছে। দু’টি আসনে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছে ফ্রন্ট। এই দু’টি আসন সিপিএমের জন্য বরাদ্দ ছিল।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিএমের প্রতীকে প্রার্থী থাকছে ১৩টি ওয়ার্ডে। সিপিআইয়ের প্রতীকে প্রার্থী থাকছে ৪টি ওয়ার্ডে। ফব-র প্রতীকে প্রার্থী থাকবে ২টি ওয়ার্ডে এবং আরএসপির প্রতীকে প্রার্থী থাকছে ১টি ওয়ার্ডে। ফব অবশ্য ৪টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারেই অনড়। দলের জেলা নেতা সুকুমার ভুঁইয়া বলেন, “আমরা ৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।” ফ্রন্টের সার্বিক ঐক্য তাহলে হচ্ছে না? ওই নেতার জবাব, “আলোচনার দরজা খোলা থাকছে।” |
|
|
|
|
|