বিদ্যাসাগর কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ছাত্রীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, কলেজের ছাত্র সংসদের নেতাদের ঘনিষ্ঠ এক যুবক তাঁর মেয়ের থেকে টাকা নিয়েছিলেন ভূগোল অনার্স-এ ভর্তি করিয়ে দেবেন বলে। কিন্তু তাঁর মেয়ে অনার্স-এ ভর্তি হতে পারেননি। মেয়ের মৃত্যুর জন্য ওই যুবককে দায়ী করেছেন তিনি। পুলিশের অনুমান, অনার্সে ভর্তি হতে না পেরে মানসিক অবসাদে ওই ছাত্রী গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ওই যুবক অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
|
মণিদীপা সেন |
পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীর নাম মণিদীপা সেন ওরফে রিয়া (১৮)। বাড়ি বেলেঘাটার সুকান্ত সরণিতে। বুধবার রাতে তাঁর বোন প্রথমে তাঁকে ঘরের ভিতরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখেন। পুলিশ ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মণিদীপার বাবা অঞ্জন সেন বৃহস্পতিবার জানান, তাঁর মেয়ে শুঁড়াকন্যা বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বিদ্যাসাগর কলেজে পাস কোর্সে ভর্তি হন।
অঞ্জনবাবুর অভিযোগ, কলেজের ছাত্র সংসদের নেতাদের ঘনিষ্ঠ অভিষেক মিশ্র নামে এক যুবক অনার্সে ভর্তি করানোর আশ্বাস দিয়ে ৫০০ ও পরে ২০০ টাকা নেন। অঞ্জনবাবু বলেন, “বুধবার দুপুরে মেয়েকে নিয়ে আমি কলেজে যাই। অভিষেক মেয়েকে নিয়ে ভিতরে যায়। মিনিট দশেক পরে মেয়ে বেরিয়ে এসে বলে, আমি আর অনার্স পড়তে পারব না। ছেলেটা আমার ক্ষতি করে দিল।” |