প্যান্ডেলে খিদে? ওই আসছে গাড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
একেবারে ঠেকে না গেলে পুজোর সন্ধ্যায় কে আর হাঁড়ি ঠেলতে চায়? কিন্তু রেস্তোরাঁয় যা থিকথিকে ভিড়, টেবিল দখল করাই কঠিন।
এ বার দুর্গাপুরে খাওয়ারই আসছে পেটুকদের কাছে। গাড়িতে চেপে। দুর্গাপুরের এক দল যুবক সেই গাড়ি নিয়ে ইতিউতি পাড়ায়-পাড়ায় পুজো-প্যান্ডেলের ধারে-কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাতে কী নেই? গরমাগরম চিকেন পকোড়া, চিকেন অয়েল ফ্রাই, ভেজ বা নন-ভেজ রোল, টিক্কা কাবাব, চিকেন-মটন-ফিশের বিভিন্ন আইটেময়। চাইলে মিলতে পারে বিরিয়ানি-তন্দুরিও। |
রেস্তোরাঁর রসুইঘরে নয়, গাড়ির মধ্যেই এই রান্না। তার পরেই হাতে গরম
ধরিয়ে দেওয়া খদ্দেরের হাতে। দুর্গাপুরে ছবিটি তুলেছেন সব্যসাচী ইসলাম। |
রাস্তায় গাড়ি নিয়ে খাওয়ার ফিরি করা নতুন নয়। বিদেশে তো বটেই, এ রাজ্যেও মৎস্য দফতরের সংস্থা ‘বেনফিশ’ গাড়িতেই রান্নাঘর চালায়। পরিবেশনও করে। সেই সব উদাহরণই বোধ হয় সিটি সেন্টারের জয় মজুমদারকে এই ব্যবসায় নামতে উৎসাহ জুগিয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি রাস্তায় নামেন। নানা রকম পদ করেছেন। দামও তেমন চড়া নয়। ফলে সাড়া পাচ্ছেন ভালই।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে শিলিগুড়ি থেকে দুর্গাপুরে এসেছেন সোহিনী হালদার। উচ্ছ্বসিত গলায় তিনি বলেন, “গাড়ি থেকে এই রকম সাজানো-গোছানো মশলাদার খাবার পেতে আমরা বন্ধুরা প্রচন্ড ভালোবাসি। মাঝে-মধ্যেই গাড়িগুলির পিছনে ধাওয়া করি।” বিধাননগরের অজয় বিশ্বাস চাকরি করেন রেলে। তাঁর কথায়, “বিকেলে মাঝে-মধ্যেই ওই স্টলগুলিতে খাই। খাবার তৈরিতে ওদের তৎপরতা দেখার মতো। অকারণ অপেক্ষা করতে হয় না।”
জয়ের মতোই আর এক স্টল মালিক বলেন, “এখন সবাই নতুনত্ব চায়। ঘুরে-ঘুরে খাবার বিক্রি এ শহরে নতুন। তাই লোকে এটা নিয়েছে। আইটেমেও সেই নতুনত্বই রাখছি। এ বার পুজোয় পথচলতি মানুষকে মাতিয়ে রাখব আমরাই। |