পুজোয় অবাঞ্ছিত ঘটনা রুখতে রঘুনাথগঞ্জ ও জঙ্গিপুরকে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পুজোতে দুই শহরেই সব রকম গাড়ি ও মোটরবাইক চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করল পুলিশ। গুটিকয়েক এলাকা ছাড়া অন্যত্র যাতায়াত করতে পারবে না লছিমন, ঘোড়ারগাড়ি এবং রিকশাও। বিকেল ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই যান নিয়ন্ত্রণ বিধি বলবৎ থাকবে। বিধিনিষেধ লাগু করতে পুলিশ বাসস্ট্যান্ড, ফুলতলা, ম্যাকেঞ্জি মোড়, সদরঘাট ও একটি লজের কাছে বুথ বসাবে। পুজোর ক’দিন রাতদিন শহরে ঘুরে বেড়াবে পুলিশের পাঁচটি টহলদারি মোবাইল ভ্যান। জেলার সর্বত্রই এই নিয়ন্ত্রণ বিধি চালু থাকবে। রঘুনাথগঞ্জের আই সি সৈয়দ রেজাউল কবীর এই বিধিনিষেদের কথা ঘোষণা করেছেন।
পুলিশ জানায়, শহরের ৩২টি পুজো মণ্ডপের সামনে থাকবে পুলিশি প্রহরা ও যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। এর জন্য জঙ্গিপুর পুরসভা থেকে ৪০ জন ট্র্যাফিক গার্ড নিয়োগ করা হয়েছে। রয়েছেন ১৬ জন ভিলেজ পুলিশ। বাড়তি পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকছে পুজো দিনগুলিতে। শহর জুড়ে বেআইনি মদ বিক্রি রুখতে শহরের চায়ের দোকান, হোটেলগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে।
পুজোতে দুটি শহরেই বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করবে জঙ্গিপুর পুরসভা। পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম বলেন, “ভাগীরথীর তীর বরাবর দু’শহরেই রাখা হচ্ছে আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পুজোর চার দিনই ২৪ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন জল সরবরাহ করা হবে। প্রতিদিন শহর সাফাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের।”
তবে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত পুলিশ ও পুরসভা। পুরপ্রধান বলেন, “রঘুনাথগঞ্জে কোনও দমকলকেন্দ্র নেই। ধুলিয়ানের দমকল কেন্দ্রেকে অনুরোধ জানানো হয় রঘুনাথগঞ্জে পুজোয় দমকলের একটি গাড়ি সর্বক্ষণ রাখার জন্য। কিন্তু তারা সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। আশঙ্কা রয়েছেই।”
ধুলিয়ান দমকল কেন্দ্রের আধিকারিক বিষ্ণুপদ রায় বলেন, “ধুলিয়ান-সহ আশপাশের এলাকায় প্রচুর বিড়ি কারখানা রয়েছে। সেখানে যে কোনও সময় আগুন ধরতে পারে। আগুন নেভাতে একটি মাত্র গাড়ি রয়েছে। তাই গাড়িটি রঘুনাথগঞ্জে ‘স্ট্যান্ডবাই’ রাখা অসম্ভব। তবে রঘুনাথগঞ্জের বিষয়টি রাজ্য দমকলের ডিজি-কে জানানো হয়েছে।”
পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “সব ক’টি শহরেই যান নিয়ন্ত্রণে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। কোনও রকম ইভটিজিং বা অসভ্যতা দেখলে ১০০ ডায়াল করলেই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।” |