বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মণ্ডপ তৈরি করছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির শিল্পীরা। কল্যাণী সাজছে থিম পুজোর রকমারি সাজে। কিন্তু বৃষ্টি সব মাটি করতে পারে এই আশঙ্কায় পুজোর উদ্যোক্তারা এখন পলিথিন কিনতে ব্যস্ত।
পঞ্চমীর বিকালে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে মণ্ডপ সাজানোর ফাঁকেই এক কর্মী বললেন, ‘‘এ বার শৌখিন জিনিসের পরিবর্তে প্লাস্টিক ব্যবহার করলে ভাল হত। এত হ্যাপা হত না।’’ একে তো বৃষ্টিতে রক্ষে নেই, তায় পুজো ভণ্ডুল করতে রয়েছে পিচওঠা রাস্তা। বেশিরভাগ রাস্তায় মাঝে মধ্যেই প্রমাণ সাইজের গর্ত। নাছোড় বৃষ্টিতে বেহাল রাস্তায় জল জমে ‘সাজানো শহরের করুণ দশা। কল্যাণীর পুরপ্রধান নীলিমেশ রায়চৌধুরী বি-৭ এর পুজোর উদ্যোক্তা। বাংলার কুটির শিল্প মণ্ডপের থিম। নীলিমেশবাবু নিজেও উদ্বিগ্ন, বৃষ্টি হলে মণ্ডপের হাল কী হবে তা নিয়ে।
রথতলা সর্বজনীনের এবার ৫০ বছর। মন্দিরের আদলে চট, কাঠ ও বাঁশের মণ্ডপে বেতের কাজ। ৪ লক্ষ টাকার মণ্ডপের শিল্পকর্ম বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ডেকরেটর ত্রিপল ও প্লাস্টিক মুড়েছেন যথাসম্ভব। কল্যাণীর বড় বাজেটের পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম আইটিআই মোড়ের পুজো। উদ্যোক্তা অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এবার মণ্ডপের থিম খাজুরাহের শৈব মন্দির। বাজেট ১৭ লক্ষ টাকা।’’ শহরের বি-১ এর নেবুলা পার্কের পুজোর থিম মানুষের পাশে থাকা। বাজেটের একাংশ যাবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের সাহায্যে। চিত্তরঞ্জন পার্কে একের পল্লির বিশাল মণ্ডপে নজর কেড়েছে কৃষ্ণনগরের প্রতিমা। পাশাপাশি থাকছে জীবন্ত মূর্তি। বিখ্যাত মানুষদের স্ট্যাচু হতে পুজো মণ্ডপে থাকবেন মূকাভিনেতারা।
এগারো নম্বরের শারদোৎসব কমিটির ডাকের সাজের প্রতিমা। এ-৯ স্কোয়ার পার্ক সর্বজনীনের বাঁশের কাজের মণ্ডপ চোখ টানবে।
কল্যাণীতে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০টি পুজো হয়। প্রায় প্রতিটা পুজোই ফাঁকা মাঠে হওয়ায় সবকটিরই পুজোর পরিবেশ বেশ মনোরম। থিম বা কোনও সামাজিক উদ্যোগ না থাকলেও এখানে সমস্ত পুজোকে এক সূত্রে বেঁধেছে আন্তরিকতা। পুজোর চারদিন গোটা পাড়া একান্নবর্তী পরিবার। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া আর জমিয়ে আড্ডা। যদিও তাতে তাল কাটতে পারে বৃষ্টির ভ্রূকুটি। |