|
|
|
|
তপন-সুকুরের জেল হাজতের মেয়াদ বাড়ল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের জেল হেফাজত হল গড়বেতার দুই সিপিএম নেতা তপন ঘোষ ও সুকুর আলির। একটি মামলায় তপনবাবু পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। মেয়াদ শেষে বুধবার তাঁকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। অন্য একটি মামলায় সুকুরও জেল হেফাজতে ছিলেন। এ দিন তাঁকেও সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। দু’জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। তপনবাবুকে ফের ৬ নভেম্বর সিজেএম আদালতে হাজির করা হবে। সুকুরকে হাজির করা হবে ১১ নভেম্বর।
২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন সাধন মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী। বাড়ি গোয়ালতোড় থানার ঠাকুরপুকুরে। রাজ্যে পালাবদলের পর পেরুয়াবাঁধ থেকে হাড়গোড় উদ্ধার হয়। এরপর ওই তৃণমূল কর্মীর পরিবার দাবি করে, উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়ের মধ্যে সাধনবাবুর দেহাবশেষ রয়েছে। মামলা রুজু হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন তপন ঘোষ। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় আত্মসমর্পণের পর তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তপন ঘোষকে জেরা করে ইতিমধ্যে পেরুয়াবাঁধের জঙ্গল থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অন্য দিকে, ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবর তৃণমূল কর্মী চুনিরাম সরেণের বাড়ি ঘেরাও করেন সিপিএমের লোকজন। অভিযোগ, ঘেরাওয়ের নেতৃত্বে ছিলেন সুকুর আলি। ঘরের মধ্যে ঢুকে ওই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করা হয়। পেটে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চুনিরামের বাড়ি গোয়ালতোড় থানার কদমবাঁধিতে। ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী ভারতী সরেন লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন গড়বেতার এই সিপিএম নেতাও। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় আত্মসমর্পণের পর তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। |
|
|
|
|
|