|
|
|
|
পুরভোট নিয়ে বৈঠক করলেন মুকুল-শুভেন্দু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সামনের মাসে ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরে পুরভোট। নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করতে বুধবার মেদিনীপুরে বৈঠক করলেন দুই সাংসদ মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। দুপুরে শহরের সার্কিট হাউসে এই বৈঠক হয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুলবাবু, যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন দুই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সুকুমার হাঁসদা-সহ দলের জেলা নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে মুকুলবাবু বলেন, “এই নির্বাচনে আমাদের সমর্থন আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ, ২ বছর ৩ মাসে মানুষ দেখেছেন উন্নয়ন কাকে বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নকে মানুষের দরজায় পৌঁছে দিচ্ছেন।” শুভেন্দু এ দিন সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি। তিনি শুধু বলেন, “যা বলার মুকুল রায়ই বলবেন।
ঝাড়গ্রাম পুরসভা বামফ্রন্টের দখলে ছিল। আর মেদিনীপুরে ক্ষমতাসীন ছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। এ বার দু’টি পুরসভাই একক ভাবে দখল করতে তৎপর তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এ দিন মেদিনীপুরে বৈঠক করেন মুকুল-শুভেন্দু। জানা গিয়েছে, বৈঠকে ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরের জন্য পৃথক দু’টি কমিটি তৈরি করা হয়। এই কমিটিই পুর-নির্বাচনের কাজকর্ম দেখভাল করবে। মেদিনীপুরের কমিটিতে রয়েছেন বিধায়ক মৃগেন মাইতি, বিদায়ী পুরপ্রধান প্রণব বসু, দলের শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যা। ঝাড়গ্রামের কমিটিতে আছেন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, দলের জেলা কোর কমিটির সদস্য দুর্গেশ মল্লদেব, শহর সভাপতি প্রশান্ত রায়। আর দু’টি কমিটিতেই আছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ ও নির্মল ঘোষ। অর্থাৎ, প্রতিটি কমিটির সদস্য সংখ্যা ৬। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন নয়। এক দিকে, মুকুল রায়ের অনুগামীরা। অন্য দিকে, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠরা। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও এই কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। ফলে, এ দিন দুই সাংসদের উপস্থিতিতে বৈঠক ঘিরে কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়ায়। দলের একাংশ মনে করছে, ঐক্যের বার্তা দিতেই এই বৈঠক। জানা গিয়েছে, পুজোর পরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে তৃণমূল। তার আগে দুই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করবে। মুকুলবাবুর কথায়, “স্থানীয় নেতৃত্ব নাম প্রস্তাব করে পাঠাবেন। পরে রাজ্য নেতৃত্ব অনুমোদন দেবেন।” |
|
|
|
|
|