|
|
|
|
মিশন বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আমাদের: রায়না
চেতন নারুলা • নয়াদিল্লি |
সরকারি সূচিমতো বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠীর দিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ভারতের নতুন ক্রিকেট মরসুম। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার তরুণ ব্রিগেডের কাছে এটা নিছকই আর একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নয়। এটা ‘মিশন বিশ্বকাপ’-এর প্রথম ধাপ। তরুণ ব্রিগেডের অন্যতম মুখ সুরেশ রায়না ফোনে আনন্দবাজারকে খোলাখুলি বলছেন, “অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে মরসুমটা শুরু হচ্ছে। এর পর আমাদের ক্রমাগত খেলে যেতে হবে। সেই ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ঠাসা সূচি। তাই বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হওয়ার কাজটা আমাদের এখন থেকেই শুরু হয়ে গেল।”
এই ‘মিশন বিশ্বকাপ’-এর প্রথম রাউন্ডেই অস্ট্রেলিয়ার মতো টিমকে পেয়ে খুশি রায়না। বলছিলেন, “আমরা এক দিনের র্যাঙ্কিংয়ে একে আছি। অস্ট্রেলিয়া দুইয়ে। অস্ট্রেলিয়ার মতো টিমের বিরুদ্ধে সিরিজ দিয়ে মরসুম শুরু করাটা দারুণ ব্যাপার। সিরিজ শেষে নিজেদের র্যাঙ্কিংটা ধরে রাখতে চাই।”
একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর সাত ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ। সেই শুরু। এর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতের সামনে ম্যাচের কোনও কমতি নেই। অতিরিক্ত ক্রিকেট খেলা হয়ে যাবে না? রায়না মানতে চাইছেন না। বলছেন, “অতিরিক্ত ম্যাচ বলে কিছু হয় না। আর আমি যতদূর জানি, আমার সতীর্থরাও আমার সঙ্গে একমত হবে। আমরা প্রতিটা ম্যাচে সমান তীব্রতার সঙ্গে ঝাঁপাতে চাই। যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিততে চাই। যত ম্যাচ জিতব, ততই আমাদের তরুণ দলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।”
তারুণ্যের সঙ্গে এ বার ধোনির দলে অভিজ্ঞতার মিশেলও আছে। আর সেই অভিজ্ঞতা এনেছেন যুবরাজ সিংহ। প্রায় ন’মাস বাদে জাতীয় দলে ফিরে এসে। “যুবরাজ দারুণ পরিশ্রম করেছে। ও এখন অনেক বেশি শক্তিশালী আর ফিট। শুধু অভিজ্ঞতার জন্যই নয়। ও এক জন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। ম্যাচের চেহারা যে কোনও সময় বদলে দিতে পারে। ব্যাটিং-বোলিং যে দিকটাই দেখুন না কেন, আমাদের দলটা শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ধোনি-যুবি আর আমি অনেক ম্যাচেই ৫-৬-৭ নম্বরে ব্যাট করেছি। যুবি দলে ঢোকা মানেই আমাদের লোয়ার অর্ডার খুব শক্তিশালী হয়ে গেল।”
টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিন বা চার নম্বরে ব্যাট করলেও ধোনির ওয়ান ডে টিমে রায়নার ভূমিকা অনেক সময়ই থাকে ফিনিশারের। রায়না নিজেও কাজটা খুব উপভোগ করেন। বলছিলেন, “দলের হয়ে ম্যাচ শেষ করার দায়িত্ব পাওয়াটা অত্যন্ত গর্বের। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কখনও ২০ বলে ৪০ রান করতে হয়, কখনও ৫ বলে ১০। আবার কখনও কখনও দেখা যায়, পরপর কয়েকটা উইকেট পড়ে গিয়েছে এবং আপনাকে নতুন করে ইনিংসটা গড়তে হবে। আবার প্রথমে ব্যাট করলে দায়িত্বটা সম্পূর্ণ অন্য রকম হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন আর কোচ আমাদের ভূমিকাটা ঠিক করে দেয়। আমরা সেই অনুযায়ী কাজটা করি।” |
|
|
|
|
|