|
|
|
|
এ বার বিসর্জনের সময় মাত্র দু’দিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এ বার প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য সময় মিলবে মাত্র দু’দিন। দশমীর দিন, সোমবার এবং দশমীর দু’দিন পর বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর।
বড় বাজেটের পুজোর উদ্যোক্তারা সাধারণত দশমীর দিন বিসর্জন দিতে চান না। কিন্তু এ বার তা করা যাবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ, মুসলিম সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠান রয়েছে। ফলে ওই দিনগুলিতে ভাসান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত বলেন, “দু’দিনের মধ্যেই সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাঁরা দশমীতে বিসর্জন দেবেন না তাঁদের জন্য দিন ঠিক হয়েছে ১৭ অক্টোবর।”
অতীতের মতো এ বারও কাঁসাই নদীর গাঁধী ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। আগের মতোই গোলকুঁয়াচক হয়ে নির্দিষ্ট পথেই যাবে প্রতিমা। এ জন্য সংস্কার করা হয়েছে গাঁধীঘাটের রাস্তা। তবে বিগত বছরগুলির মতো এ বার তেমন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে পুজো কমিটিগুলির পক্ষ থেকে। কেন এমন অবস্থা? মেদিনীপুর পুরসভায় মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। ফলে পুরসভারও দায়িত্ব এখন মহকুমাশাসকের উপর। আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলররাই পুজো মণ্ডপের সামনের রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব নিতেন। পুরসভাও কাউন্সিলরদের একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করত। তবে এ বার সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পুজো কমিটিগুলি। যদিও কিছু ক্ষেত্রে রাস্তা সারাই হয়েছে বলে দাবি পুরসভার।
তবে, এ বারের পুজোয় নতুন সংযোজন হল ভোট প্রচার। প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, পুজোয় ভোট-প্রচার করলে পুজো উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার টাকার প্রথম পুরস্কার এবং ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার দেওয়া হবে। কী থাকবে সেই প্রচারে? জানা গিয়েছে, সেখানে থাকবে ভোট সংক্রান্ত নানা পোস্টার, ভোট সম্পর্কিত ছোট্ট ছোট্ট চলচিত্রও। যা মিলবে মহকুমাশাসকের অফিস থেকেই। পুজোর দিনগুলিতে মহকুমাশাসক ও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক বিচারক হিসাবে ঘুরে দেখবেন, কোন পুজো কমিটি ভোট-প্রচারে সেরা। তা ছাড়া প্রশাসনের তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দুঃস্থদের সাহায্যের জন্য থাকছে বস্ত্রদানের কর্মসূচি। উদ্যোক্তাদের পুরসভার
অফিস থেকে পরিচয় দিয়ে সেই বস্ত্র নিয়ে যেতে হবে। |
|
|
|
|
|