জলবন্দি |
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতাতেও ভুলছেন না ধর্মঘটীরা |
সংবাদ সংস্থা • হায়দরাবাদ |
তেলঙ্গানা-আন্দোলনে এ বার ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটি। রাজ্যের সিংহ ভাগ জুড়ে এখনও আঁধার। এ বার চোখ রাঙাচ্ছে প্রকৃতিও। তবু অচলাবস্থা থেকে সরে আসার সব রকম সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিয়েছেন অন্ধ্রের ধর্মঘটীরা।
হাসপাতালের মতো জরুরি পরিষেবা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনযাপনবিপন্ন হয়ে পড়েছে সব কিছুই। কিন্তু ধর্মঘটীরা অনড়। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডির সঙ্গে আজ ধর্মঘটী সরকারি কর্মচারীদের বৈঠক ছিল। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ধর্মঘটীদের সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, এই অচলাবস্থার মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
সরকারি সব দফতরকে এই ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়াও হয়েছে। ঝড়ে যে সব জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেখানে আগে থেকেই তৈরি রাখা হচ্ছে বিশেষ নৌকা এবং হেলিকপ্টার। এই
সব পরিকল্পনার কথা শুনিয়েও টলানো যায়নি পৃথক তেলঙ্গানার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের।
সরকারি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে উল্টে আশ্বাস দেন, যদি ঝড়ের প্রকোপে রাজ্যে ক্ষতি হয় তা হলে ধর্মঘটের মধ্যেই শুল্ক, পঞ্চায়েত রাজ এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা ত্রাণ বণ্টন এবং উদ্ধারকাজে যোগ দেবেন। |
|
বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত হায়দরাবাদ। প্রকৃতির এই রোষও টলাতে পারেনি আন্দোলনকারীদের। ছবি: পিটিআই। |
কিন্তু আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তাঁরা চান, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দাবিদাওয়া স্পষ্ট ভাবে জানান।
বস্তুত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও অন্ধ্রে অচলাবস্থা কাটার ক্ষেত্রে কোনও সমাধানসূত্রই বেরিয়ে আসেনি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অন্ধ্র ভাগ হতে দেবেন না এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও আশ্বস্ত হননি ধর্মঘটী কর্মীরা। তাঁদের তরফে ইউ মুরলী কৃষ্ণ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য ভাগ হচ্ছে না, এই ব্যাপারে যথোচিত আশ্বাস না পেলে আমরা অবস্থান পাল্টাতে চাই না।”
রাজ্য ভাগের বিরোধিতায় আন্দোলনে সামিল বিদ্যুৎকর্মীরাও। সীমান্ধ্রে এখনও জারি রয়েছে টানা লোডশেডিং। ব্যতিক্রম নয় বিশাখাপত্তনম এবং বিজয়ওয়াড়াও। এনটিপিসি এবং পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে অন্ধ্রে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে এ কথা জানিয়েছেন। তেলঙ্গানা নিয়ে মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রথম বৈঠক শুক্রবার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তেলঙ্গানা-বিরোধী আন্দোলন সত্ত্বেও কংগ্রেসের মুখপাত্র পি সি চাকো অবশ্য জানিয়েছেন, তেলঙ্গানা নিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সময়সীমা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।
আজ দু’ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হয় বিজয়নগরমে। সকাল সাতটা থেকে ন’টা অত্যাবশ্যকীয় জিনিস কেনার জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়েছিল বলে জানান ডিআইজি পি উমাপতি। তবে এ দিন নতুন করে এখানে কোনও উত্তেজনা ছড়ায়নি বলেও তাঁর দাবি।
|
পুরনো খবর: বিদ্যুতের অভাবে অন্ধ্রের হাসপাতালে বিপন্ন সদ্যোজাতরা |
|