|
|
|
|
টুকরো খবর |
ট্রেনে উদ্ধার রক্তাক্ত যুবক |
ট্রেনের একটি কামরার মেঝেতে রক্তে মাখামাখি হয়ে পড়ে রয়েছেন এক যুবক। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বাঁহাতটি পড়ে রয়েছে পাশে। পায়েও গভীর ক্ষত। মঙ্গলবার রাতে শিয়ালদহ প্ল্যাটফর্মে তখন পুজোর ভিড়। ট্রেনে উঠতে গিয়ে ওই দৃশ্য দেখে অনেকেই ভয়ে নেমে আসেন। তখনই মাইকে ঘোষণা হয়, চার-এ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ট্রেনের কামরায় আহত এক ব্যক্তি পড়ে আছেন। তাই তাতে উঠতে বারণ করা হয়। পরে আরপিএফ এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে এনআরএস-এ নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, সঞ্জয় পোদ্দার (৩২) নামে ওই যুবকের বাড়ি মধ্যমগ্রামের দেবীগড়ে। তিনি কলকাতায় একটি সোনার দোকানের কারিগর। রোজই রাতের দিকের বনগাঁ লাইনের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার রাতে ট্রেনে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন দরজায়। কাঁকুড়গাছির কাছে হাত ফস্কে নীচে পড়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা বলে দাবি পুলিশের। রাতে যুবককে লাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের মানুষ সম্ভবত তাঁকে আরেকটি শিয়ালদহমুখী ট্রেনে তুলে দেন বলে অনুমান পুলিশের। বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সারা গায়েই ক্ষত সঞ্জয়ের। বাঁহাত বাদ গিয়েছে। তিনি বলেন, “রাতে ঘুম না আসায় মঙ্গলবার নেশা করি। দরজা ধরে যাওয়ার সময়ে চোখ লেগে যায়। তার পরে আর মনে নেই।” এনআরএস-এর শল্য বিভাগের প্রধান নিমাই নাথ জানান, সঞ্জয়ের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সংক্রমণের আশঙ্কা আছে। সঞ্জয়ের স্ত্রী সুপর্ণাদেবীর বক্তব্য, তাঁদের একটি ৯ বছরের ছেলে রয়েছে। বাড়িতে সঞ্জয়ই রোজগার করেন। কী ভাবে সংসার চলবে সেটাই চিন্তার।
|
‘চাঁদার জুলুম’, ধৃত |
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হল যাদবপুরের বিধানপল্লির এক পুজো কমিটির সম্পাদক। পঞ্চমীর দুপুরে ইব্রাহিমপুর রোডের বাসিন্দা কল্যাণকুমার দাস নামে ওই শিক্ষক পুলিশে অভিযোগ করেন, পুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ওই পুজো কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত দে দলবল নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে যাদবপুর থানার পুলিশ সম্পাদককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, যাঁরা ওই শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হন, খোঁজ চলছে তাঁদেরও। তবে, তাঁরা পলাতক। ওই শিক্ষকের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বাড়ির দরজায় তালা লাগানো। শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিবেশীরাও মুখ খুলতে চাননি। পুজোর মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, কমিটির কোনও সদস্য সেখানে নেই। স্থানীয়েরা দাবি করেন, ওই শিক্ষককে চাঁদার জন্য জোর করা হয়নি। তাঁকে মারধরও করা হয়নি।
|
ডাকাতির ছক, ধৃত |
ডাকাতির পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রেফতার হল পাঁচ ব্যক্তি। মঙ্গলবার, এস পি মুখার্জি রোড থেকে। ধৃতদের নাম অরূপ নস্কর, তাপস নস্কর, কুতুবুদ্দিন লস্কর, আকসাদ গাজি ও ওমপ্রকাশ যাদব। পুলিশ জানায়, সোনার বিনিময়ে ঋণ দেয়, এমন একটি সংস্থায় বুধবার ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল তাদের। তাদের কাছে ঘুমের ওষুধ ও পিস্তল মিলেছে। পুলিশের দাবি, ওই সংস্থার কর্মী অরূপ জেরায় ওই পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে। পুলিশকে সে জানায়, বুধবার থেকে সংস্থার দায়িত্ব ছিল তার উপরে। এই সুযোগেই ১৩ কেজি সোনার গয়না ও ২ লক্ষ টাকা হাতানোর ছক কষে সে। পুলিশ জানায়, প্রতিবেশী তাপস অরূপকে কুতুবুদ্দিন, আকসাদ ও ওমপ্রকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করায়।
|
‘শ্লীলতাহানি’ ধৃত |
শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ৪ নম্বর শেক্সপিয়র সরণির একটি বাড়ি থেকে ধরা হয় তাকে। পুলিশ জানায়, ধৃত রামপ্রকাশ মণ্ডল বিহারের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, রামপ্রকাশ পরিচারকের কাজ করত। বুধবার সকালে মত্ত অবস্থায় সে ওই বাড়িরই পরিচারিকা এক কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে।
|
দুর্ঘটনায় মৃত পুলিশ |
পঞ্চমীর সকালে পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এক পুলিশ অফিসার। কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মুরলীধর শর্মা জানান, তুষার চট্টোপাধ্যায় (৫২) নামে ওই এএসআই টালিগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মুদিয়ালি স্টপে চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে তিনি পড়ে যান। পিজিতে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
|
ভোটদানে সাহায্য |
ভোটদানে উৎসাহ বাড়াতে সল্টলেকের এফডি ও শ্রীভূমির মণ্ডপে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বসছে সহায়তা কেন্দ্র। বুধবার এ কথা জানান সল্টলেকের মহকুমাশাসক সঞ্জয়কুমার দাস। সপ্তমী থেকে দশমী, ১১টা থেকে ৪টে ওই কিয়স্কে কমিশনের প্রতিনিধিরা বসবেন। ভোটারদের নাম, ঠিকানায় ভুল থাকলে উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তা সংশোধন করা হবে।
|
চালু হবে ট্রাম |
|
টালিগঞ্জ থেকে কালীঘাট হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত ট্রাম বন্ধ ছিল ৭ বছর। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ফের ওই রুটে ট্রাম চলবে। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বুধবার বলেন, “সকাল ১১টায় কালীঘাট থেকে ট্রাম চলবে। রোজ ওই রুটে ৬ জোড়া ট্রাম চলবে।” ট্রাম সংস্থার চেয়ারম্যান শান্তিলাল জৈন বলেন, “গত বছর চিৎপুরে ট্রাম চলা শুরু হয়েছে। আগামী বছর বালিগঞ্জ রুটে চলবে।”
|
খোঁজ শুরু ‘শ্রেষ্ঠ’ পুজোর |
মেঘ-বৃষ্টির চোখরাঙানির মাঝেই খুশির হাওয়া বইবে শহর জুড়ে। সৌজন্যে ‘পার্লে আনন্দবাজার পত্রিকা শারদঅর্ঘ্য ১৪২০ পাওয়ার্ড বাই ইউকো ব্যাঙ্ক’। শ্রেষ্ঠ পুজোগুলিকে বেছে নিতে প্রতি বছরের মতো যারা হাজির হয়েছে এ বারেও। প্রাথমিক পর্বে কলকাতা ও হাওড়ার প্রায় ৪০০ পুজো ঘুরে নজরকাড়া পুজোগুলিকে বাছাই করেছেন আর্ট কলেজের পড়ুয়ারা। চূড়ান্ত পর্বের লড়াইয়ে তাদের থেকেই বেছে নেওয়া হবে থিমের বিচারে শ্রেষ্ঠ পুজো, শ্রেষ্ঠ প্রতিমা এবং শ্রেষ্ঠ মণ্ডপ। কলকাতার শ্রেষ্ঠ পুজো নির্বাচিত হবে উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতা মিলিয়ে। সেটি উত্তরের হলে দক্ষিণ থেকে বাছা হবে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পুজো বা ঠিক তার উল্টো। এ ছাড়া, পুরস্কার পাবে উত্তর ও দক্ষিণের শ্রেষ্ঠ প্রতিমা এবং মণ্ডপ, হাওড়ার শ্রেষ্ঠ পুজো, প্রতিমা এবং মণ্ডপ। বিজয়ী পুজোগুলির উদ্যোক্তাদের হাতে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা তুলে দিতে আজ, মহাষষ্ঠীর শহরে পথে নামছেন সেলিব্রিটি বিচারকদের একটি দল।
|
বাড়ি ভেঙে বন্দি |
বাড়িটি ‘বিপজ্জনক’ বলে আগেই ঘোষণা করেছে পুরসভা। বুধবার রাতে জোড়াসাঁকোর বলাই দত্ত স্ট্রিটে সেই বাড়িরই দোতলায় ওঠার সিঁড়ি-সহ একাংশ ভেঙে পড়ে। তিন পরিবারের বাসিন্দারা আটকে পড়েন। দমকল এবং পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দল দীর্ঘ ক্ষণ লড়াই চালিয়ে গভীর রাতে তাঁদের উদ্ধার করে। |
|
|
|
|
|