পঞ্চমীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, তদন্তের নির্দেশ
ৎসবের শহরে আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট!
বুধবার, প্রায় বৃষ্টিহীন পঞ্চমীর বিকেলে যখন শহরের বাজারগুলিতে উপচে পড়েছে শারদীয়ার কেনাকাটার ভিড়, উদ্বোধন হয়ে যাওয়া মণ্ডপগুলির সামনের লাইনে পা মেলাতে শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা, তখন আচমকাই লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ল প্রায় অর্ধেক কলকাতা। কেন এমন হল, তার খোঁজ শুরু হয়ে যায় চতুর্দিকে। নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসনও। সিইএসসি সূত্রে জানানো হয়, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ কসবা সাবস্টেশনে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আলো চলে গিয়েছে। তার জেরেই বিভ্রাট। লোডশেডিংয়ের ঠেলায় অন্ধকার নেমে আসে শহরের বহু পুজোমণ্ডপে। লোডশেডিং হয় বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি অফিসেও। এই ঘটনায় ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিইএসসি কর্তৃপক্ষের দাবি, লোডশেডিং হওয়ার মিনিট পনেরো মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়ে যায়। সব মিলিয়ে ৫০ মিনিটের মধ্যে সর্বত্রই আলো চলে আসে। কিন্তু কেন এমন ঘটল, তার প্রাথমিক তদন্ত করে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, আদতে একটি ‘সুইচ’ খারাপ হয়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি।
সিইএসসি-র বক্তব্য, কসবা সাবস্টেশনটি ‘গ্যাস ইনসুলেটেড সাবস্টেশন’ (জিআইএস)। জিআইএস-এর মতো উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই সাবস্টেশনটি তৈরি হয়েছে। এখানকারই একটি ‘সুইচ’ এ দিন হঠাৎ খারাপ হয়ে যায়। তবে পুজোর মধ্যে যাতে কোনও বিভ্রাট না হয়, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়ার পরেও শহরে লোডশেডিংয়ের খবরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে কোনও বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। তবু কেন লোডশেডিং হবে! সাবস্টেশনের লাইন কেন ‘ট্রিপ’ করে গেল, তা জানতে মুখ্যসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তাঁর ধারণা, এর পিছনে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা রয়েছে।
বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের জেরে এ দিন যাদবপুর, কসবা, কাঁকুড়গাছি-সহ দক্ষিণ থেকে উত্তর-পূর্ব কলকাতার বহু এলাকায় লোডশেডিং হয়। চাঁদনি চক, প্রিন্সেপ স্ট্রিট, লালবাজার, এমনকী কলকাতা পুরসভাতেও আলো চলে যায়। আলো আসে কোথাও আধ ঘণ্টা, কোথাও পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে। সিইএসসি কর্তৃপক্ষের দাবি, ফের যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য সতর্ক থাকছেন তাঁরা।
সংস্থা সূত্রের খবর, এ বছর সিইএসসি এলাকায় প্রায় ৩,৬০০ পুজো হচ্ছে। তাদের বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। যে সমস্ত পুজো কমিটি সিইএসসি-র কাছে বিদ্যুৎ চেয়ে আবেদন করেছে তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি বিদ্যুৎ নিচ্ছে ম্যাডক্স স্কোয়ার। তার পরেই রয়েছে বালিগঞ্জ সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।
পঞ্চমী এবং আজ, শুক্রবার ষষ্ঠীর দিন সিইএসসি এলাকায় ১৮০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের চাহিদা হবে বলে মনে করছে সিইএসসি। সংস্থার এক কর্তার কথায়, “বিদ্যুতের যতই চাহিদা হোক, জোগানে কোনও ঘাটতি হবে না। তবে সরবরাহের ক্ষেত্রে যান্ত্রিক বিভ্রাটের গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। যদিও তা এড়াতেও আমরা সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.