|
|
|
|
|
|
|
|
শেয়ার বাজার সম্পর্কে কয়েকটি কথা জানতে চাই আমি। উত্তর পেলে খুবই উপকৃত হব।
১) কী করে লগ্নি করে সেখানে?
২) কত টাকা নিয়ে নামতে হয়?
৩) কত দিনের জন্য করতে হবে?
৪) কত দিন পর লাভ হতে পারে?
৫) শেয়ার বাজারে লগ্নি আর অনলাইন ট্রেডিং কি এক জিনিস?
৬) বিষয়টি জানার জন্য কোনও বই পাওয়া যাবে কি?
হেমন্ত কুমার চাকলাদার
আপনার সবক’টা প্রশ্নের উত্তর এক এক করে দিয়ে যাচ্ছি আমি। দেখুন কোনও সুবিধা হয় কি না।
১) শেয়ার বাজারে লগ্নি করতে চাইলে প্রথমেই একটি ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন। খুলতে হবে নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্টও। তার পরেই আপনি লগ্নি করতে পারবেন।
শেয়ার কেনা-বেচার জন্য চেকের মাধ্যমে টাকা দিতে বা নিতে লাগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে আপনার কেনা শেয়ার জমা থাকবে। আর শেয়ার কেনা-বেচার মূল প্রক্রিয়া চলবে ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট মারফত। যে ব্রোকার সংস্থার মাধ্যমে আপনি স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লেনদেন করবেন, তারাই এটা খুলে দেবে। শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র ওয়েবসাইটে (www.sebi.gov.in) নথিবদ্ধ ব্রোকিং সংস্থার নামের তালিকা আছে। শুধুমাত্র সেই সংস্থাগুলিতেই যাবেন।
২) একেবারে শুরুতে বেশি টাকা না-লাগানোই ভাল। বরং ধীরে ধীরে এগোন। ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য সঞ্চয়ের নিরাপদ খাতে টাকা রাখার পর, যে অংশটা বাড়তি থাকবে, সেটাই লাগান। তা মাত্র ৪-৫ হাজারও হতে পারে। কিংবা যে টাকাটা অন্য সময়ে বাজে খরচ হয়ে যায়, সেটাকেও প্রাথমিক লগ্নির জন্য বরাদ্দ করতে পারেন। তেমন হলে শুরুতে একটাই শেয়ার কিনুন। তার পর ধীরে সুস্থে লগ্নি বাড়াতে থাকুন।
৩) ও ৪) শেয়ার বাজারে লগ্নি করার কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। কারণ মুনাফা কবে হবে বা কোন সময় কতটা বেশি হবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। যে কোনো সময়ই আপনি হাতে থাকা শেয়ার বেচে বাজার থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। তবে লোকসানের ঝুঁকি কমিয়ে ভাল লাভ করতে হলে কিন্তু সব সময় দীর্ঘ মেয়াদে লগ্নি করাই ভাল। ওই মেয়াদ খুব কম করেও যদি ধরা হয়, তবে এক বছর বা অন্তত বছর তিন-চারেক তো বটেই।
এমনকী আরও অনেক লম্বা সময় ধরে সেটা চালাতে পারলে আখেরে আপনার লাভই হবে। রিটার্ন ভাল আসার সম্ভাবনা বাড়বে। তবে কোন কোন শেয়ারে লগ্নি করা হচ্ছে সেটা বড় শর্ত। কারণ খারাপ সংস্থায় লগ্নি ডোবাতে পারে।
আর তা ছাড়া, এক বছর পার হওয়ার আগেই হাতের শেয়ার বেচে রিটার্ন ঘরে তুললে মূলধনী লাভ কর (ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স) দিতে হবে তার উপর। কারণ স্টক মার্কেটে দীর্ঘমেয়াদের লগ্নিতেই একমাত্র ওই কর ছাড় পাওয়া যায়। অবশ্য সিকিউরিটি ট্রানজাকশন ট্যাক্স বা এসটিটি দেওয়া থাকতে হবে।
৫) দেখুন, অনলাইন ট্রেডিং বলতে আপনি কী ভাবছেন বুঝতে পারছি না। আজকাল তো শেয়ার বাজারের বেচা-কেনা ইন্টারনেট মারফতই হয়ে থাকে। তা আগেকার দিনের মতো হাতে-হাতে, কাগজপত্রের মাধ্যমে আর হয় না। আপনি নিজে বা ব্রোকিং সংস্থায় গিয়ে অনলাইনে শেয়ার কিনতে ও বিক্রি করতে পারবেন।
৬) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সিকিউরিটিজ মার্কেট (এনআইএসএম)-এর ওয়েবসাইটে (www.nism.se.in) এ সম্পর্কে অনেক তথ্য আছে। |
(পরামর্শ: দেকো সিকিউরিটিজ-এর ডিরেক্টর অদিতি নন্দী-র) |
|
|
|
|
|