বৃন্দাবনে ভক্তদের রাত্রিবাসের জন্য অতিথি নিবাস চালু করছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। রাজাদের আমলে তৈরি বৃন্দাবন ধাম মন্দির চত্বরে তৈরি অতিথি নিবাসটির সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। কেনা হয়েছে আববাবপত্রও। প্রায় দশ বছর ধরে বন্ধ থাকা ওই অতিথি নিবাসের দরজা ফের লক্ষ্মীপুজোর আগেই খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ, বুধবার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের বৈঠকে অতিথি নিবাসটি চালুর দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার কথা। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “অতিথি নিবাসটি সংস্কার করে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেটি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। বুধবার বোর্ডের বৈঠকে ওই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
কোচবিহারের রাজাদের আমলে বৃন্দাবনে ধাম মন্দির তৈরি হয়। যা রাধা মদন গোপাল মন্দির নামেও পরিচিত। রাজ আমলেই কোচবিহার থেকে যাওয়া ভক্তদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে মন্দির চত্বরে অতিথি নিবাস চালু করা হয়। দেখভালের অভাবে সেটি বেহাল হয়ে পড়ে। প্রায় দশ বছর রাত্রিবাসের ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। কয়েকমাস আগে বাসিন্দাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সেটি সংস্কার করার পরিকল্পনা নেন দেবোত্তর কর্তারা। ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ছাদ, মেঝে, দেওয়াল থেকে শুরু করে জলের ব্যবস্থা ঢেলে সাজা হয়। বানরের উপদ্রব ঠেকাতে লোহার নেট দিয়ে আবাসের বারান্দা থেকে জানালা মুড়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেবোত্তরের দুই কর্মী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসে রিপোর্ট দেন। তারপরেই সেটি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। অতিথি নিবাসটিতে ৪টি থাকবার ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘরে শয্যা রয়েছে তিনটি করে। দৈনিক মাথাপিছু একশো টাকার মধ্যে একেকটি শয্যার ভাড়া নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। মহকুমা শাসক তথা বোর্ডের সদস্য বিকাশ সাহা বলেন, “প্রতিবছর জেলার বাসিন্দা বহু মানুষ বৃন্দাবনে যান। অতিথি নিবাসটি চালু হলে অপেক্ষাকৃত অনেক কম খরচে তাঁরা সেখানে থাকবার সুযোগ পাবেন। মদনমোহন মন্দিরে বোর্ডের অফিস থেকে অগ্রিম বুকিং করা যাবে।” |