এক মঞ্চে পাশাপাশি বসে মালদহ জেলার উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে সবর্স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএমের তিন শীর্ষনেতা। জেলার রাজনীতির ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, সিপিএমের রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শৈলেন সরকার ও কংগ্রেসের রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবু নাসের খান চৌধুরী পরস্পরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বলে পরিচিত।
মালদহ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ দুর্গাকিঙ্কর ভট্টাচার্যের জন্ম শতবর্ষে প্রাক্তনী সম্মিলনীর সভায় তিনজনকে পাশাপাশি বসিয়ে কার্যত নজির সৃষ্টি করলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে তিনজন একে অপরে প্রশংসা যে ভাবে করেছেন, তাতে প্রাক্তন সন্মিলনী সভায় আগত কলেজের সমস্ত প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা খুশি। উল্লেখ্য, ওই তিন নেতাই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “মালদহে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে আমার পরিবারের অবদানের কথা জেলার মানুষ সবাই জানে। পাশাপাশি, গনিখান চৌধুরী ও প্রাক্তন মন্ত্রী শৈলেন সরকারের অবদানও মালদহের মানুষ ভুলতে পারবেন না।” |
এর পরেই তিনি প্রবীণ শিক্ষক সন্তোষ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সমস্ত দলের লোকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে মালদহ কলেজে আরও উচ্চশিক্ষার প্রসারের প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। শৈলেনবাবু বলেন, “মালদহ কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জেলার সবর্স্তরের মানুষের ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সাহায্য নিয়ে মালদহ কলেজের দুইটি অডিটোরিয়াম তৈরি করেছিলাম। জেলার শিক্ষা বিস্তারে বর্তমান দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু ও সাবিত্রী চেষ্টা করছেন।” এর পরে অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবু নাসের খান চৌধুরী বলেন, “মালদহ কলেজ থেকে পাশ করার পর দীর্ঘ ৩০ বছর সুইৎজারল্যান্ড ও লন্ডনে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। জেলার উচ্চশিক্ষা বিস্তারে দাদা গনিখান চৌধুরী অনেক কাজ করছেন। শৈলেনবাবুরা ক্ষমতায় থাকার সময় অনেক কলেজ করেছেন। এখন কৃষ্ণেন্দু’র উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসীম কুমার সরকার বলেন, “উচ্চশিক্ষার প্রসারে যেভাবে কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা ভেদাভেদ ভুলে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা উৎসাহিত বোধ করছি। এতে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক লাভ হবে।” |