‘পুজো গাইড ম্যাপ’ প্রকাশ করল পুলিশ। মঙ্গলবার নিজের দফতরে ওই ম্যাপ প্রকাশ করেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার। জেলায় বড় মাপের পুজো হয় পুরুলিয়া শহর ও রেলশহর আদ্রায়। দুই শহরের জন্য এই ‘গাইড ম্যাপ’ করা হয়েছে। পুজোর সময় কোন রাস্তা ‘ওয়ান ওয়ে’ থাকবে, কোন এলাকায় গাড়ি রাখা যাবে, কোন কোন রাস্তা ধরে দর্শনার্থীরা পুজো মণ্ডপে যাবেনএই বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে ম্যাপে। পুজোর সময়ে বড় মণ্ডপের পাশে থাকা পুলিশ বুথগুলিতে এই ম্যাপ পাওয়া যাবে। পুলিশ সুপার বলেন “পুজোয় দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য এই ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।” |
পুজোয় সাউন্ড বক্সের শব্দসীমা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ। এর আগে বিশ্বকর্মা পুজোয় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ সক্রিয় হয়েছিল রঘুনাথপুর মহকুমা পুলিশ। এ বারও সেই প্রক্রিয়া বজায় থাকছে। রাতে সাউন্ড বক্স বাজানোর সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের। রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে ওই নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিটিগুলি নির্দেশ মানছে কি না, দেখার জন্য মণ্ডপে সাদা পোশাকের পুলিশ ঘুরবে। নির্দেশ অমান্য করলে পুজো কমিটি ও সাউন্ড বক্সের মালিকেদর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ছাড়া এ বারই প্রথম জেলায় ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানি রোখার উদ্দেশ্যে বড় পুজো মণ্ডপের সামনে এবং থানার সামনে পুলিশের নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া বড় বোর্ড টাঙানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ উত্ত্যক্ত করলে মহিলারা ওই নম্বরে ফোন করে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশের আশ্বাস। |