টুকরো খবর |
চার দশক পর চেক পেলেন জমিদাতারা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
|
দাসপুর ২ ব্লকে চলছে ক্ষতিগ্রস্তদের চেক বিলি। —নিজস্ব চিত্র। |
রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণের চার দশক পর ক্ষতিপূরণ পেলেন জমিদাতারা। তা-ও সকলে নয়, চেক পেলেন মোট জমিদাতার দশ শতাংশেরও কম। মঙ্গলবার ভূমি অধিগ্রহণ দফতরের আধিকারিকরা দাসপুর ২ ব্লকে এক অনুষ্ঠানে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া শুরু করেন। এ দিন ৭০ জন উপভোক্তার হাতে মোট ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। পুজোর পর বাকি জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হবে জানিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ দফতরের আধিকারিক রামনাথ মাণ্ডি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ওই সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ বাবদ জন্য ৫২ লক্ষ টাকা (প্রায় ১১ একর জমির জন্য) বরাদ্দ হয়েছে। মোট ৭৯৮ জন উপভোক্তা রয়েছেন। বাকিদের দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” কিন্তু এত দিনেও কেন পুরো টাকা দেওয়া হয়নি? এখনই বা কেন সকলকে দেওয়া হল না? এ বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিক বা সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ মোট ১৩ কিলোমিটার রাস্তার জন্য সংশ্লিষ্ট তাজপুর, তেঁতুলতলা, গোপীগঞ্জ, সোনাখালি, রানা তাজপুর, পাইরাশি-সহ একাধিক গ্রামের জমি-মালিকরা স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছিলেন। তখন সামান্য কিছু টাকা দেওয়া হয়। অভিযোগ, তারপর বহু আবেদন নিবেদনের পরেও মেলেনি টাকা। এমনকী নতুন সড়ক তৈরির পর যান চলাচল শুরু হয়ে গেলেও তাঁরা টাকা পাননি। অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল মান্নার নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে টাকা আদায়ের উদ্যোগ শুরু হয়। গত সরকারের আমলে বিষয়টি নিয়ে তদ্বির শুরু হলেও সম্প্রতি ৫২ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়। তারপরই এ দিন চেক বিলি করা হয়। দীর্ঘ আন্দোলনের পর পুজোর মুখে জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ চেক পেয়ে তাজপুরের হীমাচল সামন্ত, কার্তিক মান্না, সুশীল মান্না, বিশ্বনাথ প্রামাণিকরা খুশি। তাঁদের বক্তব্য, “আমরা আরও খুশি হতাম যদি সকলকেই চেক দেওয়া হত। তবে দ্রুত বাকিদেরও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।”
|
অনুজ-মামলায় বেকসুর খালাস ছত্রধর মাহাতো
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
আরও একটি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন জনগণের কমিটির জেলবন্দি নেতা ছত্রধর মাহাতো। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেএম (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতের বিচারক সুর্পণা রায় উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে সিপিএম নেতা অনুজ পাণ্ডের বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ছত্রধর-সহ ২৭ জন অভিযুক্তের সকলকেই অব্যাহতি দেন। এই নিয়ে তিনটি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন ছত্রধর। তবে ইউএপিএ মামলায় জামিন না পাওয়ায় এই মুহূর্তে জেল থেকে বেরনোর সম্ভাবনা নেই জনগণের কমিটির এই নেতার। এ দিন ফের ছত্রধরকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। লালগড়ের ধরমপুরে সিপিএমের বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডের দো’তলা বাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছিল ২০০৯ সালের ১৫ জুন। অভিযোগ ছিল, মাওবাদী-জনগণের কমিটির লোকেদের বিরুদ্ধে। ছত্রধর ছাড়া অভিযুক্ত বাকি ২৬ জন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। এঁদের অধিকাংশ এখন তৃণমূলের নেতা-কর্মী। এ দিন বিকেলে আদালত থেকে বেরনোর সময় ছত্রধর বলেন, “আমরা অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম বলেই জঙ্গলমহলে এখন এত কাজ হচ্ছে।” ২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লালগড়ের বীরকাঁড় থেকে গ্রেফতার করা হয় ছত্রধরকে।
|
পুরনো খবর: গুঁড়িয়ে গেল নেতার বাড়ি, পার্টি অফিস
|
স্কুল ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
ফাইনাল খেলার একটি মুহূর্ত। |
আন্তঃবিদ্যালয় লিগ কাম নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় জিতল রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন। মঙ্গলবার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেদিনীপুর স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমির উদ্যোগে এই লিগের আয়োজন। লিগ শুরু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর। খেলা চলে মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি মাঠে। এ বারের প্রতিযোগিতায় ৮টি স্কুল যোগ দেয়। ফাইনালে মুখোমুখি হয় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন ও নির্মল হৃদয় আশ্রম। নির্ধারিত সময়ে খেলা গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয়। টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জয়ী হয় রামকৃষ্ণ মিশন। পুরস্কার বিতরণী সভায় উপস্থিত ছিলেন স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমির দীপক সরকার, টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক শক্তিপ্রসাদ মিত্র।
|
শারদ অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উদ্যোগে বার্ষিক প্রাক্ শারদীয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল মঙ্গলবার। বি সি মুখোপাধ্যায় হলে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ডিন বিধানচন্দ্র পাত্র। অধ্যাপকরা ছাড়াও শিক্ষাকর্মী ও ছাত্ররা নাচ, আবৃত্তি, শ্রুতি নাটকের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
|
দল বদলে তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
দল ছেড়ে শতাধিক কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার ঘাটাল শহরের পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে ঘাটাল পুর এলাকায় শতাধিক কংগ্রেস কর্মীর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বিধায়ক শঙ্কর দোলই, ব্লক সভাপতি অজিত দে।
|
নন্দীগ্রাম মামলা |
নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনার তদন্তে নেমে ছ’জন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল সিবিআই। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে তাদের অভিমত ১৩ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে জানাতে হবে। মঙ্গলবার বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
|
পুরনো খবর: নন্দীগ্রাম-মামলায় চার্জশিটের সম্মতি মেলেনি দু’মাসেও
|
|