|
|
|
|
জেলা পরিষদের বিরোধী নেত্রী রীতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেত্রী হচ্ছেন রীতা জানা। দলের বৈঠকে তাঁর নামই এই পদের জন্য চূড়ান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে জেলা পরিষদকে।
বস্তুত, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এ বারই প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। জেলা পরিষদের ৬৭ জন সদস্যের মধ্যে ৬৪ জনই তৃণমূলের। ২ জন সিপিএমের এবং ১ জন কংগ্রেসের। সিপিএমের যে দু’জন জেলা পরিষদে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের একজন রীতা জানা। রীতাদেবী সবং থেকে নির্বাচিত হন। অন্যজন মল্লিকা মুদি। মল্লিকাদেবী খড়্গপুর- ১ থেকে নির্বাচিত হন। সবং থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন বিকাশ ভুঁইয়া। জেলা পরিষদে অর্থ-সহ ৯টি স্থায়ী সমিতি রয়েছে। প্রতিটি স্থায়ী সমিতিতেই একজন করে বিরোধী সদস্য থাকেন। বিরোধী দলনেত্রীর পদটিও গুরুত্বপূর্ণ। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় জেলা পরিষদে এ বার তৃণমূলকে চূড়ান্ত বিরোধীতার মুখে পড়তে হবে না। এ সম্ভাবনা কম। ইতিমধ্যে স্থায়ী সমিতির নির্বাচন হয়েছে। কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হয়েছে। এই দুই ক্ষেত্রেই কোনও বিরোধীতা ছিল না। ফলে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পেশ করা প্রস্তাবগুলোই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
দলীয় সূত্রে খবর, রীতাদেবীর পঞ্চায়েতে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাঁকেই বিরোধী দলনেত্রীর পদে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পেশায় শিক্ষাকর্মী সিপিএমের এই জেলা পরিষদ সদস্য প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়ান ১৯৯৮ সালে। জয়ী হন। ওই বছর তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী ছিলেন। পরের বার অর্থাৎ, ২০০৩ সালেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হন। জয়ী হন। ২০০৩ থেকে ২০০৮, এই পাঁচ বছর সবং পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত নারায়ণবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন রীতাদেবী। ২০০৮ সালেও জেতেন। তবে, প্রধান হননি। রামবাড় কন্যা বিদ্যালয়ের এই শিক্ষাকর্মীকে এ বার জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী করেছিল সিপিএম। তিনি জয়ীও হন। রীতাদেবীর কথায়, “দলের দেওয়া দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করব।” |
|
|
|
|
|