পূর্বাঞ্চল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে তৃতীয় স্থান পেয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, এরফলে সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় যেতে অবশ্য বর্ধমানের কোনও সমস্যা হবে না।
এ বারের খারাপ ফলের জন্য অবশ্য ক্রীড়াসূচি ও খারাপ রেফারিংকেই দায়ি করছেন বর্ধমানের কর্তারা। বারাসত স্টেডিয়ামে মিজোরামকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে গ্রুপ লিগে ওঠে বর্ধমান। এই ম্যাচে বর্ধমানের ফুটবলার সঞ্জিব ঘোষ লাল কার্ড দেখেন। গুরুতর আহত হন দিলীপ মন্ডল নামে বর্ধমানের এক ফুটবলার। পরের ম্যাচে রাঁচিকে ৩-১ গোলে হারায় বর্ধমান। গোল করেন দীপ্তেন্দু দাস, সত্যজিৎ বাউড়ি ও নিমো খান। লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে বারাসতের কাছে ১ গোলে হেরে যায় তারা। এর মাত্র মাত্র আধ ঘণ্টা পরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে খেলতে নামতে হয়েছিল বর্ধমানকে। চোট-আঘাতে জর্জরিত বর্ধমান দলটির অনেক ফুটবলারই তখন মাঠে নামার অবস্থায় ছিলেন না। ফলে বর্ধমান খেলা থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয়। বর্ধমানের দুই কর্তা নরুন হুদা ও প্রদীপ পাত্রের দাবি, বর্ধমানকে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দেবার ছক কষেছিল বারাসত ও কলকাতা। তাই বারাসতের ম্যাচে বর্ধমানের বিরুদ্ধে যথেচ্ছ ফাউল করা হলেও রেফারি তা দেখেও ঘটনাগুলির কথা প্রতিযোগিতার পর্যবেক্ষক প্রতিযোগিতা কমিটির সম্পাদককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলেও জানান তারা।এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা (৭ পয়েন্ট)। রানার্স হয়েছে বারাসত রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় (৫ পয়েন্ট)। রাঁচি পেয়েছে ১ পয়েন্ট। বর্ধমান-সহ চারটি দলই পূর্বাঞ্চল থেকে সর্বভারতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে অংশ নেবে পূর্বাঞ্চল থেকে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে। এ বার কেরালার মহাত্মা গাঁধি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে কোয়ান্টামে বসবে ওই সর্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের আসর। |