রিজার্ভ বেঞ্চে কোচের চেয়ারটাই আজ বুধবার ফাঁকা থাকবে ইউনাইটেডের। টিম লিস্টেও দেখা যাবে না এলকো সাতোরির নাম।
শুধু খালিদ জামিলের মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধেই নয়, পরের লাজং ম্যাচেও কোচের চেয়ারে বসতে পারবেন না এলকো। তাঁকে দু’ম্যাচ সাসপেন্ড করল ফেডারেশন। ড্রেসিংরুমে ঢুকতে বা কোচিং করাতে পারলেও ম্যাচের সময় টেকনিক্যাল এরিয়ায় বসতে পারবেন না র্যান্টিদের কোচ। পুণেতে ফোন করে জানা গেল, মঙ্গলবার বিকেলে সাসপেন্ডের খবর জানার পর এলকো ভেঙে পড়েননি। বলেছেন, “অন্যায় হচ্ছিল বলে প্রতিবাদ করেছিলাম। আমি এমন কিছু করিনি যাতে এ রকম শাস্তি হতে পারে।” ওই ম্যাচের রেফারির রিপোর্ট এ দিনই পৌঁছেছে ফেডারেশনে। তাতে অবশ্য লেখা হয়েছে, বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে টেকনিক্যাল এরিয়া ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে রেফারিকে গালাগালি করেছেন ইউনাইটেড কোচ এলকো।
এলকো সাসপেন্ড হওয়ায় চিন্তায় ইউনাইটেড কর্তারা। তাই আর্থিক অনটনের মধ্যেও তাঁরা ভাবছেন পরের লাজং ম্যাচে সহকারী কোচ অঞ্জন নাথকে পাঠাবেন। এমনিতেই টিমের মাঝমাঠের প্রধান অস্ত্র লালকমল ভৌমিক চোটের জন্য মাসদুয়েক খেলতে পারবেন না। সাসপেন্ড হওয়ার দিন সকালে অবশ্য পুরোদমে অনুশীলন করিয়েছেন এলকো। বেঙ্গালুরু ম্যাচে হারলেও সেই দলই রাখছেন তিনি। পুণে থেকে ফোনে অধিনায়ক দীপক মণ্ডল বললেন, “কোচ রিজার্ভ বেঞ্চে না থাকলে অসুবিধা তো হবেই। তবে উনি তো ম্যাচের আগে, হাফটাইমে পরামর্শ দিতে পারবেন। ফলে সমস্যা কিছুটা কমবে।” পুণের মাঠে খালিদ জামিলের টিম সবসময়ই ভাল খেলে। তা সত্ত্বেও আবার জয়ের পথে ফেরার জন্য মরিয়া র্যান্টি-বেলোরা। দীপক বললেন, “বেঙ্গালুরুতে হঠাৎ একটা গোল খেয়ে হেরে গিয়েছিলাম। পুণের ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে।” |