|
|
|
|
মাটি খুঁড়ে বধূর দেহ নারায়ণগড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
মাটি খুঁড়ে লোধা সম্প্রদায়ের মহিলার দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল মঙ্গলবার। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগড়ের মকরামপুরের কাছে কুড়িদানবাটিটাকি এলাকায়। মৃতা রাখি নায়েক (৪০) ওই এলাকার বাসিন্দা। পরিবার ও গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, গত রবিবার রাখিদেবীকে মেরে পাশের গ্রাম জ্যোতিরামপুরের শ্মশানের কাছে পুঁতে দিয়েছে স্বামী অসিত নায়েক। পরিবার ও গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ দিন মাটি খুঁড়ে ওই দেহ উদ্ধার হয়।
বছর ষোলো আগে খড়্গপুর গ্রামীণের সাঁকোয়ার মণিনাথপুরের বাসিন্দা রাখিদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় নারায়ণগড়ের কুড়িদানবাটিটাকির অসিত নায়েকের। তাঁদের এক পুত্র ও কন্যা সন্তান আছে। সোমবার রাতে নারায়ণগড় পুলিশ গ্রামবাসীদের একাংশের তরফে রাখিদেবীকে খুন করে জ্যোতিরামপুরে পুঁতে রাখার অভিযোগ পায়। মঙ্গলবার সকালে মৃতার বাবা লক্ষ্মী নায়েককে ডেকে পাঠানো হয়। পরে সাঁকোয়া থেকে কেশিয়াড়ি ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিক অসীমকুমার নিয়োগীর উপস্থিতিতে ওই এলাকায় গিয়ে বাড়ির কাছেই মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় রাখির দেহ। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অসিতবাবুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে স্বামী অসিত নায়েক ও তাঁর পরিবারের পাল্টা দাবি, রবিবার রাতে রাখি মদ্যপ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে আসার পথে বড় নর্দমায় পড়ে মারা গিয়েছেন। এর পর মৃতার বাপের বাড়ির অনুমতি নিয়েই তাঁরা দেহটি মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন।
রাখিদেবীর বাবা লক্ষ্মী নায়েক বলেন, “মাঝে মধ্যেই নেশা করত রাখি। ওর মৃগি রোগও ছিল। রবিবার মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি আসার পথে রাখি মারা গিয়েছে বলে জামাই জানিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলায় অনুমতি চায়। তাই আমি অনুমতি দিই। তবে আমি এখন নতুন করে তদন্ত হোক তা চাইছি।” কেশিয়াড়ির বিডিও অসীমকুমার নিয়োগী জানান, “দেহটি পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। ঠিক কি হয়েছে তা বোঝার উপায় নেই। স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|