|
|
|
|
পুজোর শহরে যানজট রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রেল শহরে পুজোর ক’দিন নির্বিঘ্নে কাটাতে বেশ কিছু নতুন বিধি জারি করল প্রশাসন। গত কয়েক বছর ধরেই খড়্গপুর শহরে বেশ কয়েকটি বড় পুজো হচ্ছে। এছাড়া দশেরা উৎসবেও লক্ষাধিক মানুষ শহরে জড়ো হন। তাই উৎসবের দিনগুলিতে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো রাখতে তৎপর প্রশাসন।
১৯২৫ সাল থেকে খড়্গপুরে দশেরা উৎসব হয়ে আসছে। দশমীর দিনে শহরের রাবণ ময়দানে গুজরাতি, মারোয়াড়ি, তেলেগু, বিহারি, বাঙালি-সহ নানা সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিতে পালিত হয় রাবণ বধের অনুষ্ঠান। দিল্লির রামলীলা ময়দানের আদলে এই উৎসবে লক্ষাধিক টাকার আতসবাজি পোড়ানো হয়। সঙ্গে বাড়তি আকর্ষণ রাম-রাবণের যুদ্ধ। রাবন বধের অনুষ্ঠান দেখতে খড়্গপুরের গেটবাজার সংলগ্ন ওই এলাকায় মানুষের ঢল নামে। পদাধিকার বলে এই দশেরা উৎসব কমিটির সভাপতি মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি অজয় নন্দ। এছাড়াও অনেক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক ও পুলিশ আধিকারিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। তাই ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ওই এলাকা পরিদর্শন করে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুন চন্দ্রশেখর ও খড়্গপুরের আইসি অরুনাভ দাস।
প্রশাসনিকভাবে এ বছর ঠিক হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য ৫৫ ফুট উচ্চতার রাবণের মূর্তি থেকে তিরিশ ফুট দৈর্ঘ্যের মধ্যে প্রথম ব্যারিকেটে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। ৫০ ফুট দূরত্বে দ্বিতীয় ব্যারিকেটে যেতে পারবেন কমিটির কর্মকর্তা ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। বসার জায়গারও বেশ কিছু রদবদল হতে চলেছে এ বছর। অতিথিদের বসার জন্য এবার গড়া হবে দু’টি পৃথক মঞ্চ। একটি মঞ্চে থাকবেন ডিআইজি, এসপি, ডিআরএম, সাংসদরা। আর দ্বিতীয় মঞ্চে অন্য বিশিষ্ঠ ব্যক্তিদের বসার ব্যবস্থা থাকবে। আর অনুষ্ঠানস্থলের ৫০ ফুটের বাইরে থাকবেন সাধারণ দর্শনার্থীরা। দশেরা উৎসব কমিটির সহ-সভাপতি রাজা রায় জানান, সুষ্ঠুভাবে এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব পালন করতে প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনেই আমরা যাবতীয় ব্যবস্থা করছি। এ বছর অনুষ্ঠানে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীরও উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার বিকেলে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। ঠিক হয়েছে, পুজোর ক’দিন শহরের যানজট মুক্ত রাখতে বিভিন্ন রাস্তাকে ‘ওয়ান ওয়ে’ করে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এত বছর পুরী গেটে কোনও উড়ালপুল না থাকায় রেলগেট বন্ধ থাকলে যানজটে নাকাল হতেন দর্শনার্থীরা। এবছর নতুন উড়ালপুল হয়েছে। তাই এবার উড়ালপুল থেকে নেমে আইআইটি না ঢুকে দর্শনার্থীদের কেশিয়াড়ি বাইপাস ধরে সোজা চলে যেতে হবে রবীন্দ্রপল্লি, তালবাগিচা ও প্রেমবাজারের পুজো দেখতে। এর পর আইআইটির দ্বিতীয় গেট দিয়ে ঢুকে দেখতে হবে আইআইটির পুজো। ফের আইআইটির প্রথম গেট দিয়ে বেরিয়ে উঠতে হবে উড়ালপুলে। এছাড়াও সন্ধ্যা ছ’টা থেকে খড়্গপুর শহরে চৌরঙ্গী, নিমপুরা, বারবেটিয়া ও গোপালী এই চারদিক দিয়ে পণ্য অথবা যাত্রীবাহী ভারী যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর জানান, পুজোর নিরাপত্তা এবং শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে এই ব্যবস্থা। এবছর নতুন উড়ালপুল হয়েছে। তাই ওই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। মধ্য রাতে শহরের ওই চারটি প্রবেশপথ সমস্ত যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|