কোথাও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্ত্রী-শক্তির রুখে দাঁড়ানোর বার্তা, কোথাও বা অসহায়ের পাশে থাকার আশ্বাস। এ বার হাওড়া শহরের বিভিন্ন দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মূলত এমনই ভাবনা ফুটে উঠেছে। বিজয় সম্মিলনী তৈরি করছে ছোট্ট এক গ্রাম। সেখানে অসহায় এক শিশুর পাশে দেখা যাবে দুর্গাকে। নস্করপাড়া কিশোর সঙ্ঘে হীরক জয়ন্তী বর্ষের ভাবনা আফ্রিকার জুলু, মাসাইদের মতো উপজাতিকে ঘিরে। আদি বংশধরদের প্রকৃতির মধ্যে ঈশ্বর খোঁজার চেষ্টাকে তুলে ধরা হচ্ছে।
শিবপুরের সম্মিলিত নাগরিকবৃন্দের থিম মাতৃ আরাধনার মধ্যে দিয়ে একান্নবর্তী পরিবার ও দেশের ভাঙন রোখা। রামকৃষ্ণপুর অ্যাথলেটিক ক্লাব পুজো প্রাঙ্গণ তৈরি করছে দুর্গাকে প্রদীপের শিখার সঙ্গে তুলনা করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন রুখতে শক্তির আরাধনা হবে নবারুণ সঙ্ঘে। কল্যাণপল্লি সর্বজনীন দুর্গাকে বরণ করবে লক্ষীরূপে। পুজো প্রাঙ্গণ গ্রামের আদলে। টর্পেডো ওয়েলফেয়ার সোসাইটির থিম ‘বাঁশি শিল্প’।
সৃজনশীল চেতনা ও বাঙালিয়ানার মেলবন্ধন কাজীবাগান লেন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মণ্ডপে। ধাড়সা ভ্রাতৃ সঙ্ঘের থিম দুষ্টের দমনে নারীশক্তি। অজানা কেরল উঠে আসবে সাঁতরাগাছি কলাবাগান কিশোর সঙ্ঘের মণ্ডপে। মা কালী ব্যায়াম সমিতির থিমে প্লাস্টিক দূষণের প্রতিবাদ। সানপুর শ্যামা সঙ্ঘ তুলে ধরবে সাত সুর, সাত সমুদ্র, সাত রং, পৃথিবীর সাত আশ্চর্য এবং সাত-কাণ্ডের রামায়ণ।
কাসুন্দিয়া ইউনাইটেড ক্লাবের ৬৮তম পুজো সাবেক ধাঁচে। শীতলা তরুণ সঙ্ঘের ভাবনা ‘অরণ্য চেতনা’। আন্দুল ফার্স্ট বাই লেনের বিশ্বমিলনীর থিমে ‘যামিনী রায় ও বাংলার লোকশিল্প’। হাওড়া অনুশীলন সমিতির মণ্ডপ পশ্চিম মেদিনীপুরের পাথরা মন্দিরের অনুকরণে। আন্দুল রোডের উত্তর পোদরা নতুনপল্লি (১) সেবা সমিতি মণ্ডপ তৈরি করেছে বিবেকানন্দ রকের আদলে। |