|
|
|
|
নীতীশের ঘনিষ্ঠ বাহুবলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশে
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
মোকামার বাহুবলী বিধায়ক, জেডিইউ নেতা অনন্ত সিংহের বিরুদ্ধে একটি পরিকাঠামো নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠল। আজ সকালে ওই সংস্থার কর্ণধার তরুণ সিংহ পটনার এস কে পুরি থানায় ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ, মোকামার এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি বেড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘুষ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে তাঁর প্রশাসনকে যখন সতর্ক থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন, তখন তাঁরই দলের এই নেতার নামে তোলা আদায়ের অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের শাসক দল যথেষ্ট বিড়ম্বনায়। পুলিশ স্পষ্ট করে এই নিয়ে মুখ খুলতেও চাইছে না। বলতে চাইছে না, তোলা আদায়ের জন্য কত টাকা চাওয়া হয়েছে। এমন কী পুলিশ অভিযোগকারীকে সামনেও আনতে চাইছে না। এই বাহুবলি নেতার ক্ষমতা বুঝেই পুলিশ সতর্ক থাকতে চাইছে বলে একাংশ মনে করছে।
অনন্ত সিংহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অভিযোগ ঠিক না। আমি খোঁজ করে দেখেছি এমন কোনও অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দায়ের হয়নি। তবে বলছেন যখন, তখন আমি আরও একবার খোঁজ নিয়ে দেখব।” জেডিইউয়ের এক নেতা বলেন, “পুলিশ ঘটনার তদন্ত করবে। এটা প্রশাসনিক বিষয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত দলীয় ভাবে এই নিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।” পুলিশ বলেছে, ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে আজ সকালে অভিযোগটি জমা পড়েছে। পটনার পুলিশ সুপার (শহর) জয়ন্তকান্ত বলেন, “অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা জানতে পেরেছি দু’পক্ষের মধ্যে একটি জমি নিয়ে ঝামেলা আছে। কোন প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ করা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। তারপরেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।”
কয়েক মাসে আগে গাড়ি পার্কিং-এর নামে একটি পার্ক দখল করে নেওয়ায় এই বাহুবলী নেতার সঙ্গে রাজ্যের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী পরভিন আমানুল্লার ঝামেলা বাধে। পাটলিপুত্র এলাকায় অনন্ত সিংহের একটি হোটেল আছে। গাড়ি পার্কিং-এর নামে তিনি হোটেলের সামনের পার্কটি কার্যত দখল করে নিয়েছিলেন। ঘটনার কথা জানতে পেরে মন্ত্রী পরভিন আমানুল্লা প্রতিবাদ জানান। তা নিয়ে বিতর্ক বাধে। মন্ত্রীর লাগাতার প্রতিবাদে অনন্ত সিংহকে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে হয়। বছর খানেক আগে সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিনিধিকে বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
|
|
|
|
|
|