|
|
|
|
লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের দিকেই নজর কংগ্রেস-বিজেপির
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস-বিজেপি দুই দলেরই প্রধান নিশানা এখন গোবলয়ের সব থেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ।
মেয়ে প্রিয়ঙ্কাকে পাশে রেখে সনিয়া গাঁধী আজ নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র রায়বরেলীতে এইমস-এর ধাঁচে হাসপাতাল ও রেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। সেখানে তিনি তুলে ধরলেন ইউপিএ সরকারের সাফল্যের কথা। এ দিনই মায়াবতীর দলিত ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে দিল্লিতে বড়সড় সম্মেলন করলেন রাহুল গাঁধী। যেখানে তাঁর বক্তব্য ছিল, দলিত ভোটাররা মায়াবতীর কাছে থেকে কিছুই পাবেন না। তাই তথাকথিত এই দলিত নেত্রীর কবল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে তাঁদের। কারণ, মায়াবতী অন্য কোনও দলিত নেতাকে উঠতে দেন না।
গোটা গাঁধী পরিবারের শুধু নয়, বিজেপি-র মনও এখন উত্তরপ্রদেশের দিকে। দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার পর আগামী সপ্তাহে প্রথম বার এই রাজ্যে সভা করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর প্রথম সভাটি হবে কানপুরে। তার পর এক মাসের মধ্যে তিনি আরও দু’টি সভা করবেন এ রাজ্যে। মোদীর ঘনিষ্ঠ নেতা অমিত শাহ উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সেখানে মোদীর জন্য জমি শক্ত করার কাজ করে যাচ্ছেন। দিল্লির ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের উপরেই সব থেকে বেশি ভরসা রাখছেন মোদী। এবং সে কারণেই সম্ভবত মোদী এ রাজ্যে নয়-নয় করে আটটি সভা করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই।
|
ভোটের প্রচারে মায়ের পাশেই।
সনিয়া গাঁধীর নির্বাচনী কেন্দ্র রায়বরেলীতে প্রিয়ঙ্কা। ছবি: পিটিআই।
|
তবে কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল যখন মায়াবতীর কাছ থেকে দলিত ভোটব্যাঙ্ক ছিনিয়ে নিতে তৎপর, সিবিআই তখন আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমোকে রেহাই দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। এর আগে উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর প্রতিপক্ষ মুলায়মকেও রেহাই দেওয়া হয়েছে। বিজেপি-র বক্তব্য, কংগ্রেস জানে, মোদী-ঝড়ের কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না কংগ্রেস। অখিলেশ সরকারের উপর থেকেও মানুষের ভরসা উঠে গিয়েছে। সে কারণে এখন তাঁরা দ্বিমুখী কৌশল নিয়ে এগোতে চাইছেন। এক দিকে সনিয়া সিবিআই-অস্ত্র ব্যবহার করে মায়াবতী-মুলায়মকে সঙ্গে রাখতে চাইছেন। কারণ, কেন্দ্রে ফের সরকার গঠনের জন্যই তাঁরাই হতে পারেন সনিয়ার জিয়নকাঠি। আর রাহুল ‘একলা-চলো’ নীতি নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে দুর্বল করে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
বিজেপির এক নেতার কথায়, লালু প্রসাদকে বাঁচানোর জন্য মনমোহন মন্ত্রিসভা যে অডির্ন্যান্স এনেছিল, তাতে সায় ছিল খোদ সনিয়ারও। রাষ্ট্রপতি তা খারিজ করে দিয়েছেন বটে। কিন্তু পাছে লালুর গোঁসা হয়, তার জন্য রাষ্ট্রপতির পুত্র জেলে গিয়ে লালুর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। আবার নীতীশ কুমারের পক্ষ থেকেও এখন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধার ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। যে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে লালু জেলে গিয়েছেন, সেই একই মামলায় জড়াতে পারেন নীতীশও। তাঁর বিরুদ্ধেও একটি মামলা আদালতের বিচারাধীন। নভেম্বরে যার শুনানি হবে।
কংগ্রেসও এখনও সিবিআইকে দিয়ে নীতীশের সঙ্গে রফা করছেন। সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে আঞ্চলিক দলগুলিকে নরমে-গরমে রেখে সঙ্গে পেতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|