শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড়ের মতো নিউ টাউনের নবাবপুরেও তৈরি হল পাঁচমাথার মোড়। তবে এই পাঁচমাথার মোড় শ্যামবাজার মোড়ের থেকে অনেক বেশি পরিকল্পিত। শ্যামবাজারে পথচারীরা যখন তখন রাস্তা পেরোতে শুরু করেন। তবে নিউ টাউনের পথচারীরা তা পারবেন না। রাস্তার চারদিকে রেলিং থাকবে। সাবওয়ে দিয়ে রাস্তা পেরোতে হবে। মঙ্গলবার এই সাবওয়ে সাধারণের জন্য খোলা হল।
নিউ টাউনের পাঁচমাথার মোড়ে রাস্তা পেরোনোর জন্য থাকছে দশটি সাবওয়ের মুখ। সাবওয়ে উদ্বোধন করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী জানান, গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সাবওয়ে খুব জরুরি। সাবওয়ের দশটি মুখ থাকায় সহজে রাস্তা পার হওয়া যাবে। |
এমনিতে এখনই নিউ টাউনের পাঁচমাথার মোড়ে রাস্তা পেরোনো খুবই বিপজ্জনক। এখানে গাড়ি খুব দ্রুত গতিতে যায় বলে আশপাশের আবাসনের বাসিন্দারা সাবওয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার হিডকোকে জানান। ভবিষ্যতে নিউ টাউনে জনসংখ্যা বাড়লে এই মোড় আরও বিপজ্জনক হয়ে যাবে। তাই সাবওয়ে তৈরিতে খুশি বাসিন্দারা।
হিডকো জানিয়েছে, দেড় বছরের মধ্যে তৈরি হয়েছে এই সাবওয়ে। হিডকো কর্তৃপক্ষ জানান, এক বছরের মধ্যেই এই সাবওয়ে তৈরি হয়ে যেত। কিন্তু প্রথমে যে পরিকল্পনা হয়েছিল তাতে সাবওয়ের যে কোনও একটি মুখ দিয়ে ঢুকে যে কোনও রাস্তায় বেরোনো যেত না। তাই পরিকল্পনার কিছুটা বদল হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, সাবওয়ের ভিতরে প্রায় এক কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে। হিডকোর দাবি, এত দীর্ঘ সাবওয়ে পূর্ব ভারতে নেই। উন্নত মানের টালি বসানো হয়েছে। দেবাশিসবাবু বলেন, “নিউ টাউন ‘অ্যাড ফ্রি জোন’ হলেও সাবওয়ের ভিতর কিছু বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাবওয়ের ভিতর যাতে রাস্তা না হারায়, তাই দিক নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।” সাবওয়ের ভিতর সৌর্ন্দযায়ন করা হবে।
এ দিন ফিরহাদ হাকিম নিউ টাউনে একটি বিসর্জনের ঘাটও উদ্বোধন করেন। নিউ টাউনের ক্যানসার হাসপাতালের পিছনে একটি খালে এই ঘাট উদ্বোধন করে ফিরহাদ জানান, নিউ টাউনের সব প্রতিমাই এই ঘাটে বিসর্জন করা যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় গঙ্গায় বিসর্জনের চাপ কমাতে স্থানীয় ভাবে ঘাট তৈরির কথা বলেছিলেন। দেবাশিসবাবু জানান, নিউ টাউনে ৪৩টির মতো পুজো হচ্ছে। সবগুলির বিসর্জনই এই ঘাটে করার আবেদন করা হয়েছে। |