নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
বুদবুদের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া সায়ক কর্মকারের অপহরণের ঘটনায় ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দেবচন্দন সামন্ত। বাড়ি এই থানার কোচডিহি গ্রামে। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে দুর্গাপুরের একটি শপিং মল থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, তার গাড়িটি অপহরণকারীরা ব্যবহার করেছিল। ঘটনার পিছনে তার আর কি ভূমিকা ছিল, মুক্তিপণের টাকা তার কাছেও যেত কি না সে সব জানতে ধৃতকে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বুদবুদের কোটা গ্রামের নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহকারী কিষাণ কর্মকারের ছেলে সায়ক প্রাইভেট টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি থেকে কিছু আগে মোটরবাইকে চড়ে দু’জন এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। ঘণ্টা খানেক পরে তারা ফোন করে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাতেই বুদবুদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ কিষাণবাবুকে টাকা নিয়ে বর্ধমানের বিসি রোডে গিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে বলে অপহরণকারীরা। পুলিশ কিষাণবাবুকে অনুসরণ করে গোপনে সেখানে পৌঁছে যায়। অপহরণকারীরা রাতেই সায়ককে তার গ্রামে ছেড়ে দিয়ে যায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মূল পান্ডা সায়কের দাদা বীরভূম ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির দ্বিতীয় বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া রুদ্রনাথ। সে কোটা মোড়ের পাপ্পু বিশ্বাসের দোকান থেকে বেনামে একটি সিম নেয়। সেই সিম ব্যবহার করেই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয় কিষাণবাবুকে। অপহরণের পরে সায়ককে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছিল পানাগড়ের একটি ভাড়া বাড়িতে সনু চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী চন্দ্রার কাছে। পুলিশ চারজনকেই গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, কিষাণবাবুর আর্থিক প্রতিপত্তির কথা জেনে পুজোর মুখে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল রুদ্রনাথ। |