নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
|
|
ধৃতদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র। |
|
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিনোদ। পরিবারের তরফে পরের দিন হিরাপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর কুলটির নিয়ামতপুর লাগোয়া এলাকা থেকে তাঁর মোটরবাইক ও হেলমেট উদ্ধার করে পুলিশ। তার দু’দিন পরে দেহ মেলে। দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়, খুন করা হয়েছে বিনোদকে। বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধ্যায় বিনোদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর বন্ধু ছোটু। বিনোদ যেতে চাইছিলেন না। তাঁকে একপ্রকার জোর করেই নিয়ে যায় ছোটু। পুলিশ ছোটুকে আটক করে। পুলিশের দাবি, তাকে জেরা করতেই সে সব কিছু জানিয়ে দেয়। ছোটুর কথা মতো বাকি দু’জনকে ধরা হয়।
পুলিশের আরও দাবি, জেরায় ছোটু স্বীকার করেছে, বিনোদের এটিএম কার্ডটি হাতানোই ছিল তাদের লক্ষ্য। ছোটু জানতে পারে, বিনোদের নামে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে রয়েছে। কিন্তু তার একার পক্ষে বিনোদের কাছ থেকে এটিএম কার্ড হাতানো সম্ভব নয় বলে মহম্মদ আজাদ ও মহম্মদ সাজ্জাদ শেখকে সঙ্গী করে সে। পুলিশের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে, তারা তিন জন পরিকল্পনা করে বিনোদকে বাড়ি থেকে ডেকে মদের ঠেকে নিয়ে যাবে। তার পরে তাঁকে অচেতন করে কার্ডটি হাতিয়ে নেবে। প্রয়োজনে খুন করবে। পুলিশের দাবি, ছোটু স্বীকার করেছে, সে আগেও অনেক বার বিনোদকে মদের ঠেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিনোদ তার সঙ্গে যাননি। কিন্তু ওই সন্ধ্যায় ছোটু তাঁকে জোর করে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে পুলিশ জেনেছে, ধৃতেরা বিনোদের এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারেনি। কারণ, টাকা তোলার জন্য যে এটিএমের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছিল, সেটি ভুল। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” |