রং লাগল পুজোয়। তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি জয়ের পর পুরসভা জয়। কান্ডারি পরেশ অধিকারী। তাই পরেশবাবুর পুজে ঘিরে উত্সব শুরু হয়েছে মেখলিগঞ্জে। কোচবিহারের রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ, চন্দননগরের আলোর সঙ্গে মিল রেখে আলো। পরেশবাবু বলেন, “পুজোর সঙ্গে রাজনীতির ব্যাপার নেই। বাসিন্দারা সবাই মিলে পুজো করি। সবাই মিলে আনন্দ করি।” ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক তথা বামফ্রন্টের নেতা পরেশ অধিকারী যাই বলুন না কেন মেখলিগঞ্জ তো বটেই জেলার মানুষ জানেন মেখলিগঞ্জ পশ্চিমপাড়া সর্বজনীন দুর্গা উত্সব কমিটির পুজো পরেশবাবুর পুজো।
পরেশবাবু জানান, প্রায় আড়াই মাস ধরে জলপাইগুড়ির এক শিল্পী পশ্চিমপাড়ার খেলার মাঠে কোচবিহার রাজবাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেনয়। ২০ জন শিল্পী অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাজবাড়ির প্রধান ফটক, গম্বুজ, ছোট ছোট কুঠুরি তৈরি করছেন। রাজবাড়ির সামনে থাকবে সুন্দর বাগান। গোটা রাজবাড়িকে ঘিরে থাকবে আলো। মণ্ডপে যাওয়ার রাস্তায় থাকবে নানা রঙের আলো। পুজোর অন্য উদ্যক্তারা জানান, চতুর্থীতে পুজোর উদ্বোধন করবেন পরেশবাবু নিজেই। এবার বাজেট বেড়েছে। তাই অনেক দিন মণ্ডপ রাখার বাসিন্দাদের দাবির কথা মেনেই চতুর্থীতেই উদ্বোধন।
বাসিন্দারা জানান মেখলিগঞ্জ ব্লকে ২৫টির মত দুর্গা পুজো হয়। কিন্তু সে ভাবে বড় বাজেটের পুজো নেই। বাসিন্দারা পুজো দেখতে মাথাভাঙা, কোচবিহার শহর, জলপাইগুড়ি যান। সব সময়ই বাসিন্দারা একটা এলাকায় একটা বড় পুজো হোক, তাই চাইতেন। বিষয়টি জানার পর পরেশবাবু ছয় বছর আগে নিজের পাড়ায় ওই পুজো শুরু করেন। বিগ বাজেটের পুজোর দায়িত্ব তিনিই নেন। তিনি জানান, ওই চার দিন এলাকার মানুষের সঙ্গেই দিনরাত কেটে যায়। নানা গল্প হয়। অনেক কিছু জানতে পারি। মণ্ডপেই খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়। দুপুরে ও রাতে সবার বাড়িতে রান্না বন্ধ। অষ্টমীর দিন সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিলি করা হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মেখলিগঞ্জ ব্লকে বামেরা জয়ী হলেও কয়েকটি এলাকা তৃণমূলের দখলে চলে যায়। কোচবিহার জেলার প্রায় সব এলাকায় ধীরে ধীরে বামেদের হাতছাড়া হয়। মেখলিগঞ্জ পুরসভা নির্বাচনেও জয়ের ধারা বজায় রাখেন পরেশবাবু। পুরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টিতেই বামেরা জিতে যায়। একটিতে কংগ্রেস। এতে পরেশবাবুর অনুগামী এবং সঙ্গীদের মধ্যে পুজো ঘিরে বাড়তি উত্সাহ শুরু হয়ে যায়। |