পুজোর দিনগুলিতে জেলার বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপে নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড মোড়ে ৪টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসাল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
সোমবার বিকেলে মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি চেরি সেরিন লেপচা ক্যামেরা-নজরদারি ব্যবস্থার উদ্ধোধন করেন। এ দিন বালুরঘাটের মন্মথনাট্য মঞ্চে আয়োজিত সভায় প্রশাসনের তরফে পুজো গাইড এবং চাইল্ড গার্ড প্রকাশ করা হয়েছে। নব নির্বাচিত কাউন্সিলর, স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও পুজো উদ্যোক্তারা-সহ আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র, জেলা শাসক তাপস চৌধুরী এবং জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে ছিলেন। তিনি বলেন, “পুজো মন্ডপে কারও সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করা অথবা কাউকে অসামাজিক কাজকর্ম করতে দেখলে ব্যবস্থা নিতেই ওই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পুজোর ভিড়ে পুলিশি নজরদারি দল থাকবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের বাসিন্দারাও বিশেষ অনুমতি নিয়ে বালুরঘাট, হিলি এবং গঙ্গারামপুরের পুজো দেখতে আসেন। অষ্টমী-নবমীর রাতে কার্যত জনসমুদ্র বালুরঘাট শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেয়ে হয় শহরের পুলিশ কর্মীদের।
সীমান্তবর্তী এই জেলায় তাই এই বার বিশেষ ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছরই প্রথম শহরের পুজো মণ্ডপগুলির সামনে ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার বার্তা দিতে গ্লোসাইন বোর্ড রাখা হবে।
পাশপাশি জেলা পুলিশ সুপার এবং অন্য পুলিশ অফিসারদের সরাসরি যোগাযোগ বা এসএমএস করার জন্য মোবাইল ফোনের নম্বরও লেখা থাকবে। পুজো দেখতে এসে কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে মণ্ডপ থেকেই ওই নম্বর গুলিতে ফোন করলে দ্রুত পুলিশি সহায়তা পাবেন বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “পুলিশি টহলের পাশপাশি শহরের বিভিন্ন মোড়ে ৭টি পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র থাকছে। পুরসভার তরফে মঙ্গলপুর মোড়ে পানীয় জল এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে।” |