পাঁচ মাস ধরে বেতন নেই। দফায় দফায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, মহকুমাশাসককে জানিয়ে লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। পাম্পের মেশিনগুলি দেখভালের অভাবের অভিযোগও রয়েছে। এই অবস্থায় পুজোর মুখে সোমবার দুপুরে থেকে মাথাভাঙা পুরসভা এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিলেন পাম্প অপারেটর কর্মী ইউনিয়ন (নর্দান ডিভিশন)। পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। এদিন দুপুরে এবং বিকালে জল সরবরাহ হয়নি। পাম্প অপারেটর সংগঠনের সম্পাদক ভানু রায় বলেন, “পুজোর মুখে সবাই যখন নতুন জামাকাপড় কিনছেন, আমরা তখন খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। গত মে মাস থেকে বেতন পাচ্ছি না। বোনাসের তো প্রশ্নই নেই। এই পরিস্থিতিতে ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।” বিষয়টি পাম্প অপারেটরদের তরফে মাথাভাঙার মহকুমাশাসক শশীকুমার চৌধুরী এবং পুরসভার চেয়ারপার্সন কোকিলা সিংহকে জানানো হয়েছে।
মহকুমাশাসক বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। সকালে কেবল বাসিন্দারা পেয়েছেন। পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক হয় তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” বাসিন্দাদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে পুরসভার চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর এলাকায় ২০ জন পাম্প অপারেটর রয়েছেন। তাঁরা সকলেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ঠিকাদার অধীনে ঠিকা কর্মী। ঠিকাদাররা সঠিক সময়ে তাঁদের বেতন দিচ্ছেন না বলে কর্মীদের অভিযোগ। যদিও ঠিকাদারদের একাংশের বক্তব্য, “সময়মত টাকা না মেলায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।” জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কয়েকজন পদস্থ অফিসার জানান, বছরে ২-৩ দফায় ওই খাতে বরাদ্দ মেলে। তা সেই সময় ঠিকাদরদের দেওয়া হয়। গত মে মাসের পর চলতি মাসেই টাকা আসার কথা। পুজোর আগেও টাকা চলে আসতে পারে। সম্ভবত টাকা না পেয়ে ঠিকাদারদের ওই কর্মীদের বকেয়া মেটাননি। ২-৩ দিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা। |