প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের বন্ধ থাকা ভাতা ফের চালু করছে কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। ২০০৫ সালের মধ্যে সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিক শিক্ষকের প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন এমন শিক্ষক শিক্ষিকারা ওই সুযোগ পাবেন। সংসদ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে প্রাথমিক তালিকায় এক হাজারের বেশি শিক্ষক শিক্ষিকার নাম ওই ভাতা প্রাপকদের তালিকায় রাখা হয়েছে। সমস্ত নথি ও তথ্য যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাস থেকে তাঁরা প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ থাকা ওই ভাতা পাবেন। পর্যায়ক্রমে, প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করার পর থেকে ভাতা চালুর আগের মাস পর্যন্ত তাঁদের বকেয়া টাকাও কয়েক কিস্তিতে মিটিয়ে দেওয়া হবে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার বলেন, “পূর্বতন সংসদ কর্তৃপক্ষ ও সরকারের গড়িমসি, পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ না মেলার মত একাধিক কারণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা ওই ভাতা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আগামী নভেম্বর থেকেই ওই ভাতা বাবদ প্রতি মাসে বেতনের সঙ্গে গড়ে ৪৫০ টাকার বেশি ওই শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেওয়া সম্ভব হবে।” সংসদ সূত্রেই জানা গিয়েছে, সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তাঁদের ‘এ ক্যাটাগরি’র শিক্ষক শিক্ষিকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তাঁরা প্রতিমাসে নির্দিষ্ট ভাতা পান। কিন্তু ২০০৫ সাল থেকে জেলায় ওই ভাতা দেওয়া হচ্ছিল না। সম্প্রতি রাজ্য শিক্ষা দফতর ওই ভাতা চালুর ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়ায় তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার জানান, কয়েক কিস্তিতে সকলকে বকেয়া ভাতার টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষক সংগঠনগুলি সংসদের ঘোষণায় খুশি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, “বাম সরকার ও সংসদ কর্তার উদাসীনতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বাড়তি ভাতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।” তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সেল জেলা আহ্বায়ক দেবাশিস কর বলেন, “পুজোর মুখে শিক্ষকদের বাড়তি বোনাসের নামান্তর।” তাঁদের সময় গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ প্রাক্তন চেয়ারম্যান কনক মোহন্ত। তিনি বলেন, “কোনও গাফিলতি ছিল না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে কারা ওই সুবিধা পাবেন, সেই ব্যাপারে কিছু জটিলতায় সমস্যা হয়েছিল।” |