সুজাপুরে প্রস্তাবিত পলিটেকনিক তৈরি করার জন্য এক বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করে পাঠায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জমি না মেলায় সুজাপুরে পলিটেকনিক কলেজ তৈরির কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। সুজাপুরের বরাদ্দ টাকায় চাঁচলে পলিটেকনিক কলেজ গড়ার উদ্যোগ নেওয়ায় প্রশাসনের সঙ্গে সুজাপুরেরে কংগ্রেস বিধায়ক আবু নাসের খান চৌধুরীর চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। বিধায়ক জানান সুজাপুরে পলিটেকনিক কলেজে গড়ার প্রস্তাব রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার সুজাপুরে পলিটেকনিক কলেজ তৈরির জন্য ১৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করে ৭ কোটি টাকা পাঠায়। কয়েক মাস আগে জেলাশাসক পলিটেকনিক কলেজের জন্য জমি খুঁজে দিতে বলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ওই প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। এখন শোনা যাচ্ছে ওই টাকায় দিয়ে চাঁচলে কলেজ হবে। আবু নাসের খান চৌধুরী বলেন, “সব জায়গায় কলেজ, পলিটেকনিক হোক। কিন্তু সুজাপুরের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে চাঁচলে কলেজ মানা হবে না। আমরা এলাকার মানুষ গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছি। রাজ্যকে বিষয়টি জানাচ্ছি। প্রশাসনের এই চেষ্টা আমরা রুখবই।”
জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “বিধায়ক জমি জোগাড় করে দেবেন বলেছিলেন। ৭ কোটি টাকা এসেও যায়। এখন বিধায়ক কলেজের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ বিঘা জমির ব্যবস্থা করতে পারছেন না। আমরা কখনও জমির ব্যবস্থার কথা বলিনি। তা বললে আমরাই জমির ব্যবস্থা করতাম। বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রাখতে পারছেন না। এমন হলে তো টাকা ফেরত যাবে।” জেলাশাসক বলেছেন, “সম্প্রতি চাঁচলেও একটি পলিটেকনিক কলেজে অনুমোদন করেছে রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতর। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সুজাপুরের টাকায় আপাতত চাঁচল পলিটেকনিক কলেজের কাজ শুরু হবে। চাঁচল পলিটেকনিকের টাকা আসলে তা দিয়ে সুজাপুর পলিটেকনিক কলেজের কাজ শুরু করা হবে। দুই বছর আগে জেলা সংখ্যলঘু উন্নয়ন সমিতির বৈঠকে সুজাপুরের বিধায়ক আবু নাসের খান চৌধুরী সুজাপুরে ওই কলেজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রশাসন প্রস্তাব রাজ্য সরকারকেক কাছে পাঠায়। পরে তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যায়। টাকাও অনুমোদন করা হয়। ঠিক হয়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সুজাপুরে পলিটেকনিক কলেজে তৈরির কাজ করবে। |