|
|
|
|
পুজোতে ‘ইভ টিজিং’ রুখতে সক্রিয় পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
একদিকে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যাওয়ার রঙিন দিক নির্দেশ, অন্যদিকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতার প্রচার। সঙ্গে পুজোর ভিড়ে ‘ইভ টিজিঙের’ শিকার হলে, কোন নম্বরে ফোন করলে পুলিশের সাহায্য মিলবে তার হদিশও। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের পুজো গাইড ম্যাপে এবারে জায়গা করে নিয়েছে নারী নির্যাতনও। সোমবার জেলা পুলিশের পুজো গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেছেন। উত্তরবঙ্গের আইজি শশীকান্ত পুজারি গাইড ম্যাপের উদ্বোধন করেন। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকার, জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু এদিন কোতায়ালি থানা লাগোয়া এলাকায় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নারী নির্যাতনের একাধিক ঘটনায় সম্প্রতি দেশ এবং রাজ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মাসদুয়েক আগে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটেও এক তরুণীকে গণ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় জেলা পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সে নিরিখে পুলিশের পুজো গাইড ম্যাপে নারী নির্যাতন বিরোধী প্রচার তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কী রয়েছে মা্যাপে? প্রতিবারের মতোই শহরের বিগবাজেটের বিভিন্ন পুজো সহ অন্তত ৪০টি পুজো মণ্ডপে যাওয়ার দিক নির্দেশ থাকছে। শহরের কোথায় পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে তার ঠিকানা, ফোন নম্বরও থাকবে। পুজোর দিনগুলি কোন পথে যানবাহন চলাচল করবে না সে সবের উল্লেখ্যও থাকছে। সেই সঙ্গে, গাইড ম্যাপের প্রতিটি পৃষ্ঠাতেই থাকবে নারী নির্যাতন বিরোধী প্রচার। নিগ্রহ বা অত্যাচারের ঘটনা ঘটলে অভিযোগ জানানোর উপায়, কোন ধারায় মামলা হয় তার বিবরণ থাকবে। নাম গোপন রেখেও অভিযোগ জানানোর পদ্ধতির উল্লেখ থাকবে বলে জেলা পুলিশ জানিয়েছে।
ঠাকুর দেখার ভিড়ে ইভটিজিং অথবা কোনরকম সমস্যায় পড়লে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে ফোন করার আর্জি জানানো হয়েছে গাইড ম্যাপে। জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং কোতোয়ালি থানার আইসির মোবাইল নম্বর আছে ম্যাপে। জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “পুজো মানে নারীশক্তি, মাতৃশক্তির আরাধনা। সে কারণেই পুজো উপলক্ষে প্রকাশ করা গাইড ম্যাপে নারীদের উপর অত্যাচার রুখতে সচেতনতা প্রচার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুজোর ক’দিন গাইড ম্যাপ সকলেই কাছে রাখেন, সে কারণে ওই গাইড ম্যাপে কোনও বার্তা দিলে সেটিও মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছোবে বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশের কাছে সাহায্য পেতে হলে কোন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে তাও বলা থাকবে গাইড ম্যাপে।” গাইড ম্যাপের নির্দেশিকা এবং তথ্য শহরবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে, বিভিন্ন মোড় ও থানা থেকে গাইড ম্যাপ বিলি করা হবে। থানা মোড়ে পুজোর জন্য জেলা পুলিশের মূল কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে সেখানেও ম্যাপ বিলি হবে। |
|
|
|
|
|