স্কুল নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত পুরুলিয়ায়। রবিবার নির্বাচন হয়েছে পুরুলিয়ার আটটি স্কুলে। সাতটিতে তৃণমূল জিতলেও রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মৌতোড় মানদাসুন্দরী হাইস্কুলে হোঁচট খেল শাসকদল। এখানে অভিভাবক প্রতিনিধির ছ’টি আসনের সব ক’টিতেই জিতেছেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা।
রবিবার ভোট হয় নিতুড়িয়ার রামপুর হাইস্কুল ও নিতুড়িয়া গার্লস হাইস্কুলে। রামপুরে ছ’টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছে তৃণমূল। একটি আসন পেয়েছে সিপিএম। নিতুড়িয়া গার্লস এবং হুড়া ব্লকের চাকলতা-ভাগাবাঁধ হাইস্কুল, পাড়া ব্লকের ভাগাবাঁধ হাইস্কুল, রঘুনাথপুর শহরের জিডি ল্যাং হাইস্কুল, আড়শার গৌরদাগ হাইস্কুল এবং রঘুনাথপুরের বেড়ো হাইস্কুলসর্বত্রই ছ’টি আসনের মধ্যে সব ক’টিতেই জিতেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। এই স্কুলগুলির মধ্যে বেড়ো বাদ দিয়ে বাকিগুলির পরিচালন সমিতি অবশ্য ছিল তৃণমূলেরই দখলে। বেড়ো ছিল সিপিএমের দখলে।
রঘুনাথপুর ২ ব্লকে পরাজয়ের ধাক্কা অবশ্য শাসকদলকে ভাবাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ব্লকে জিতেছে সিপিএম। পরে চেলিয়ামা বিজলীপ্রভা হাইস্কুলেও জেএমএমে সঙ্গে জোট করে লড়াই করেও জিততে পারেনি তৃণমূল। এ বার তৃণমূলকে হার মানতে হল মানদাসুন্দরী হাইস্কুলে। এখানে অভিভাবক প্রতিনিধির ছ’টি আসনেই সিপিএম জয় পেয়েছে। তৃণমূলের জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালি বলেনস “জেলার সর্বত্রই স্কুলভোটে সিপিএম কার্যত ধুয়েমুছে যাচ্ছে। কিন্তু, রঘুনাথপুর ২ ব্লকে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ধারাবাহিক ভাবে আমাদের খারাপ ফল হচ্ছে। এর কারণ দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” বস্তুত, এই ব্লকে দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দের প্রভাব নির্বাচনে পড়ছে বলে মনে করছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের কার্যকরী সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই ব্লকে দলের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য বারবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ যে মানা হচ্ছে না, তা ভোটের ফলেই বোঝা যাচ্ছে। এই অবস্থায় ওই সমস্যা মেটাতে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। না মিটলে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |