থিম পুজোর ভাবনায় বিভোর এ বার সীমান্তের গ্রামগুলি। জলঙ্গির পদ্মা পাড়ের পাড়ায় এ বার থিমের ছোঁয়া। কোথাও শুকনো পাটের মণ্ডপ কোথাও আবার কাচের। কেবল তাই নয়, প্রতিমাতেও এ বছর পরিবর্তনের ছোঁয়া। সাগরপাড়া কালীতলা সর্বজনীনে এ বার চমক থাকছে প্রতিমা। তুলসী কাঠের প্রতিমার দেখা মিলবে ওই মণ্ডপে। চোয়াপাড়া সর্বজনীন কেদারনাথের আদলে মণ্ডপে দেখা মিলবে কাচের প্রতিমার। সীমান্তের পাশাপাশি ডোমকল ব্লকেও পুজোয় চমক থাকছে থিমের। ২৪ পল্লি সর্বজনীনের মণ্ডপ হবে দিল্লির লোটাস টেম্পলের আদলে। লক্ষ্মীনাথপুর মাঠপাড়া সর্বজনীনের প্রতিমা হবে বাদামের।
একটা সময় ভাঙনের কবলে পড়ে অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়ে পদ্মা পাড়ের গ্রামগুলি। কিন্তু অনটনের গ্রামে প্রায় এক যুগ থেকে শুরু হয় থিমের ভাবনা। জলঙ্গির জয়কৃষ্ণপুর ও গৌরীপুর গ্রামে একটা সময় শুরু হলেও এখন চোয়াপাড়া, সাগরপাড়া এলাকায় থিম পুজোর উন্মাদনা চরমে। সাগরপাড়া কালিতলা পুজো কমিটির সম্পাদক সন্তু সরকার বলেন, “বিগত কয়েক বছর ধরেই আমরা মণ্ডপ ও প্রতিমায় চমক এনেছি। এ বছর আমাদের মূল আকর্ষণ তুলসি কাঠের প্রতিমা। তা ছাড়াও মহালয়ার দিন সাঁতার প্রতিযোগিতা ছাড়াও ষষ্ঠীর দিন থেকেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।”
চোয়াপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক চৈতন্য হালদার বলেন, “বছর কয়েক ধরে আমরা থিম পুজো শুরু করেছি। থিম পুজোর পর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে আমাদের মণ্ডপে। এ বছর আমরা কেদারনাথের আদলে তৈরি করছি মণ্ডপ। প্রতিমা হবে কাচের। আশা করছি এ বছর ভিড় জমবে আমাদের মণ্ডপে।” পদ্মাপাড়ের গ্রামগুলির মতোই থিমে মেতেছে ডোমকলও। ২৪ পল্লির মণ্ডপ নিয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের উৎসাহ চরমে। লক্ষ্মীনাথপুরের বাদামের প্রতিমাও দর্শনার্থী টানবে বলে দাবি তাদের। ২৪ পল্লির সম্পাদক দেবাংশু সরকার বলেন, “বছর সাতেক ধরে আমাদের পুজোতেই ভিড় জমিয়েছেন নদিয়া মুর্শিদাবাদের হাজার হাজার দর্শনার্থী। এ বারও আমাদের আশা দুই জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সারা রাত ধরে আমাদের এখানে আসবেন।” |