সুপ্রিম কোর্টে তাঁর অবস্থান নিয়ে জটিলতা চলার মধ্যেই নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন।
বোর্ডের যে বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন কিংবা প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ কারও নোটেই আইপিএলের স্পট ফিক্সিং নিয়ে একটা কথাও লেখা নেই! ভারতের সিনিয়র ও জুনিয়র টিমের পারফম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা আছে, আইপিএল সিক্সের সাফল্য নিয়ে কথাবার্তা আছে, কিন্তু স্পট-ফিক্সিং কাণ্ড নিয়ে কোথাও একটা শব্দ নেই বার্ষিক রিপোর্টে শ্রীনির নোটে। শুধু সচিব সঞ্জয় জাগদালের নোটে একটু স্রেফ ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে ব্যাপারটাকে।
যা খবর, বার্ষিক রিপোর্টে পাতা জুড়ে বোর্ডের ডোপিং-বিরোধী কার্যকলাপ কিংবা বয়স ভাঁড়ানো আটকাতে যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার কথা আছে। কিন্তু আইপিএলে ডোপ করে ধরা পড়া ভারতীয় ক্রিকেটার প্রদীপ সঙ্গওয়ানের নাম কোথাও উল্লেখ নেই। রবি সবন্ত আবার নিজস্ব নোটে লিখেছেন, আইপিএলের স্পনসরনশিপ বা টিকিট বিক্রি করে তত টাকা আসেনি, যা আগের আইপিএল থেকে এসেছে। শ্রীনিবাসন আবার তাঁর নোটে লিখেছেন, “ক্রিকেটের দিক থেকে আইপিএল সিক্স তুমুল সাফল্য পেয়েছে। মাঠে প্রচুর দর্শকও এসেছেন।” কিন্তু স্পট ফিক্সিং কাণ্ড নিয়ে এত ঘটনার পরেও সেটা কোথাও লেখেননি শ্রীনি। শুধু রিপোর্টের সতেরো নম্বর পাতায়, যেখানে ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তের কথা লেখা হয়, সেখানে শুধু লেখা আছে যে গুরুনাথ মইয়াপ্পনের বিরুদ্ধে আসা যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে বোর্ড। এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে স্পট ফিক্সিং শব্দটাকে! বরং পটেল বলেছেন, “আইপিএল সিক্স নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তার মোকাবিলা ভাল ভাবে করেছে বোর্ড। যা যা জরুরি সব করা হয়েছে বা হচ্ছে। ভারতে ক্রিকেটকে সুরক্ষিত রাখতে যা যা করা দরকার, সবই করবে বোর্ড।”
অন্য দিকে, দিল্লি আদালতে নতুন আবেদন জমা করলেন শান্তাকুমারন শ্রীসন্ত। দিল্লি পুলিশ তাঁর জামিন নাকচ করতে চেয়েছিল। নিজের আবেদনে শ্রীসন্ত বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তা ছাড়া দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। |