|
|
|
|
হবে নতুন অ্যানিকেত, বাঁধ দেখলেন সেচ কর্মাধ্যক্ষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে অ্যানিকেত বাঁধ পরিদর্শন করলেন কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুর- ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শক্তি মণ্ডল। পরিদর্শন শেষে নির্মলবাবু বলেন, “নতুন অ্যানিকেত তৈরি হবে। ইতিমধ্যে পরিকল্পনা হয়েছে। পুজোর পর পুরোদমে কাজ শুরু হবে।” নতুন অ্যানিকেত হলে সেচের সুবিধে হবে।
মোহনপুরের কাছে কংসাবতীর এই বাঁধ তৈরি হয়েছিল ১৪৩ বছর আগে। সেচ ছাড়াও পানীয় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জলের জোগান ও বন্যা প্রতিরোধের কথা ভেবেই ইংরেজরা এই বাঁধ তৈরি করেছিল। ২০০৭ সালে বন্যার সময় বাঁধটি ভেঙে যায়। সেচ দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, অ্যানিকেত ভাঙার দু’টি প্রধান কারণ রয়েছে।
১) কংসাবতী নদীর আশপাশ থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা। বালি তুলতে তুলতে তা একেবারে অ্যানিকেতের কাছে এসে পৌঁছে গিয়েছিল। তাতে ইটের তৈরি ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকা পাথরের অ্যানিকেত আর মজবুত ছিল না।
২) ২০০৬ সালে অ্যানিকেতের উপর সিমেন্টের আস্তরণ তৈরি করা হয়। পরবর্তীকালে এটি রাস্তায় পরিণত হয়। বহু বছর এর উপর দিয়ে যাতায়াত ছিল না। পরে তার যাতায়াত শুরু হয়। বালি বোঝাই লরিও চলতে শুরু করে। সব মিলিয়ে, জলের স্রোত সামলানোর ক্ষমতা থাকলেও উপরের এত চাপ সামলানোর ক্ষমতা ছিল না এই অ্যানিকেতের। ২০০৭ সালের বন্যায় এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ হয়। কিন্তু, ২০০৮ সালের বন্যায় আবারও বাঁধের ৩৫ মিটার ভেঙে যায়। ফের ২ কোটি টাকায় সংস্কার কাজ করতে হয়।
কংসাবতীর এই অ্যানিকেত থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চারটি ব্লকের ৮৭ হাজার একর জমিতে সেচ দেওয়া হয়। পরিস্থিতি দেখে আর সংস্কার নয়, নতুন করে অ্যানিকেত তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরনো অ্যানিকেত রেখেই নতুন অ্যানিকেত তৈরি হবে। দু’দফায় নতুন অ্যানিকেত তৈরি করা হবে। তারই সঙ্গে মেরামত করা হবে ভেঙে যাওয়া স্টনিস গেট। নির্মলবাবু বলেন, “অ্যানিকেতের কাজ নিয়ে বিগত দিনে অনেক সমালোচনা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে। আমরা ভাল করে কাজ করার চেষ্টা করব। সেই প্রস্তুতিও চলছে।”
|
|
|
|
|
|