|
সাবেক নিয়ম মেনেই
চলছে ভট্টাচার্যদের পুজো
অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় • আমতা |
|
দু’শো বছরে পড়ল আমতার ঝিখিরার ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গাপুজো।
১৮১৩ সালে বাংলায় তখন চলছে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির রাজত্ব। সে সময়ে এই পরিবারের সন্তান রামশম্ভু পুজার প্রচলন করেন। কথিত আছে, আনুমানিক ১৪৯৩ সালে বাংলায় হুসেন শাহী বংশের রাজত্বকালে রামশম্ভুবাবুর পিতামহ বীরেশ্বর ভট্টাচার্য ঢাকার বিক্রমপুর থেকে চলে আসেন হাওড়ার আমতার ঝিখিরায়। বর্ধমানের মহারাজা পীরচাঁদ বাহাদুরের কাছ থেকে এখানে ৩৩ বিঘা জমি পান তিনি।
সময়ের সঙ্গে পুজোর আড়ম্বর জৌলুস কখনও কমেছে, কখনও বেড়েছে। কিন্তু পুজোর নিয়ম অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করেছে পরিবার। বংশ পরম্পরায় ঢাকি, কুমোর, কামার-সহ অনেকেই যুক্ত এই পুজোর সঙ্গে।
পুজোর বৈশিষ্ট্য, জন্মাষ্টমীর দিন পরিবারের জমিতে অবস্থিত বিল্ববৃক্ষের মাটি নিয়ে এসে কলসে কূলদেবতার মন্দিরে রাখা হয়। ঠাকুর গড়ার সময়ে সেই কলসের মাটি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। অবিবাহিতা মেয়েদের পুষ্পাঞ্জলি নিষেধ এই পরিবারে। মহালয়া থেকে কোনওরকম কল্প বসে না। সরাসরি ষষ্ঠীর দিন বোধন হয়। একচালা প্রতিমায় কার্তিক গণেশের অবস্থান বিপরীত। ডানদিকে লক্ষ্মীর নীচে থাকেন কার্তিক। অন্য দিকে, সরস্বতীর নীচে থাকেন গণেশ। কলাবউ থাকেন কার্তিকের পাশে। দু’শো বছর উপলক্ষে পুজোর দিনগুলিতে রাখা হচ্ছে বাড়তি আনন্দের আয়োজন। |