কাউন্টার বন্ধ টোল প্লাজার, অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গাড়ির লম্বা লাইন। তবু খোলা রয়েছে মাত্র দু’টি টোল কাউন্টার। ফলে দীর্ঘ অপেক্ষা। বিদ্যাসাগর সেতু টোল প্লাজার এই হাল দু’দিন ধরেই দেখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন থেকে কলকাতায় ফেরার পথে বিষয়টি সরেজমিন দেখতে নিজেই গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন তিনি। পরপর কাউন্টার বন্ধ দেখে খোঁজ করলেন কর্তাব্যক্তিদের। তাঁদের হদিস না মেলেনি। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে সমস্ত কাউন্টার খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে এবং প্রয়োজনে কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। |
এই চিত্র প্রায় নিত্য দিনের।—ফাইল চিত্র। |
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ। ট্রাফিক পুলিশ ও টোলপ্লাজা সূত্রের খবর, টোল প্লাজার ভিআইপি লেন পেরিয়ে আচমকাই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মমতা। পিছন দিকে হেঁটে ঢুকে পড়েন প্লাজার ভিতরে। দেখেন অধিকাংশ কাউন্টার বন্ধ। যে সব গাড়ি সেই সময়ে প্লাজার লাইনে দাঁড়িয়েছিল, সেগুলির আরোহীদের অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাবে সরেজমিন পথে নামতে দেখে অবাক হয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী গুনে গুনে দেখতে থাকেন ক’টি কাউন্টারের জানলা বন্ধ। তার পরে দ্রুত পায়ে ফেরার পথে প্লাজার নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে জানতে চান কোন সংস্থা প্লাজার দায়িত্বে রয়েছে।
এ বার গাড়িতে বসে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন তাঁর সচিবালয়ের প্রধান অফিসার গৌতম সান্যালকে। বলেন, “এগুলি কার দায়িত্ব দেখে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।” পান-গুটখার পিকে নোংরা হয়ে থাকা টোল প্লাজার দেওয়াল দেখেও এ দিন প্রবল অসন্তুষ্ট হন মমতা। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রকে ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি।
পরে মদনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকটি টোল কাউন্টার ঘুরে দেখেন। কোনও কাউন্টারে তখন কর্মী ছিলেন, কিন্তু কম্পিউটার খারাপ, কোনওটায় কম্পিউটার রয়েছে, কিন্তু কর্মী ছিলেন না। টোল প্লাজার দেওয়াল পানমশলা-গুটখার পিকে নোংরা। এ সব দেখেই আমাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
কী ব্যবস্থা নেবেন পরিবহণ মন্ত্রী?
মদনবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে এ দিনই টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে দিল্লির একটি সংস্থা টোল সংগ্রহের বরাত পেয়েছে। কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে কম্পিউটার সারিয়ে সবক’টি কাউন্টার চালু করতে। টোল প্লাজার নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, দিল্লির ওই সংস্থার কর্মীরা দ্রুত টোল সংগ্রহ করে উঠতে পারছেন না। তার ফলেই যানজট হচ্ছে। গাড়ির লম্বা লাইন হচ্ছেও একই কারণে।
আর কী ভাবে মিটবে অপরিচ্ছন্নতার সমস্যা? পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “এ বার যাঁকেই টোল প্লাজায় পান-গুটখার পিক ফেলতে দেখা যাবে, পুলিশ তত্ক্ষণাত্ সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করবে।” |