বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার আবহে ভারতের বাজার ধরতে তৎপর হল ইজরায়েল। আজ দিল্লিতে ইজরায়েলের অর্থমন্ত্রী নাফতালি বেনেট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করে দু’দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত রূপায়ণের জন্য সওয়াল করেন।
বর্তমানে ভারতের সঙ্গে ইজরায়েলের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় পাঁচশো কোটি টাকার কাছাকাছি। এ দেশের প্রতিরক্ষা, আবহাওয়া, কৃষির মতো ক্ষেত্রগুলিতে ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে ইজরায়েল। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ আরও বাড়াতে ইজরায়েলের একটি বণিক সভার প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতে এসেছেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। সেই সূত্রেই নাফতালি এ দিন দেখা করেন চিদম্বরমের সঙ্গে।
দু’দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রূপায়ণ করা সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখতে ২০০৭ থেকে আলোচনা শুরু করেছে ভারত ও ইজরায়েল। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই বিষয়ে দু’পক্ষই বেশ কয়েক কদম এগিয়েছে। কিন্তু এখনও বেশ কিছু পণ্যের উপর শুল্ক ছাড় নিয়ে জটিলতা রয়েছে।
আগামী মাসে দু’পক্ষের বৈঠকে সেই জটিলতার সমাধান খুঁজতে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে দুই দেশের। নাফতালির কথায়, “মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রূপায়িত হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত-ইজরায়েলের দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে লাভ দু’পক্ষেরই।” দিল্লি সফরের পর ইজরায়েলের ওই প্রতিনিধি দলটি মুম্বইতে বণিক সভার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবে। বাণিজ্যের পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে, বিশেষ করে গবেষণা ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইজরায়েল। আজ দিল্লি আইআইটি-র একটি অনুষ্ঠানে নাফতালি বলেন, “গবেষণার ক্ষেত্রে দু’দেশের বিজ্ঞানীরা যাতে এক সঙ্গে কাজ করতে পারেন, তার জন্য ভারত ও ইজরায়েলের সরকার একটি গবেষণা উন্নয়ন তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” তবে ওই তহবিলের পরিমাণ বা রূপরেখা কী হবে, সে ব্যাপারে কিছুই জানাননি নাফতালি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে দু’দেশ যাতে এক সঙ্গে কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই ওই তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। |