কেবল দৃঢ়চেতা নেত্রী নয়, নারী হিসেবেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে আকর্ষণ ছিল প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের। অন্তত পদত্যাগের ব্যক্তিগত চিঠিতে তেমনই জানিয়েছেন ব্রিটেনের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন নট। ১৯৮১ সালে একটি শ্বেতপত্রে ব্রিটিশ নৌসেনার বরাদ্দ কমানোর কথা জানায় থ্যাচার সরকার। তার পরেই ১৯৮৩ সালে ফকল্যান্ড দ্বীপ দখল করে আর্জেন্তিনার সেনা। এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে সমালোচনার মুখে পড়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন নট। তখন থ্যাচারকে দু’টি চিঠি লিখেছিলেন তিনি। সেগুলির মধ্যে ব্যক্তিগত চিঠিটি আজ থ্যাচারের ব্যক্তিগত নথিপত্রের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে।
চিঠিতে নট জানিয়েছেন, থ্যাচারের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্রে জানাতে পারেননি তিনি। তাঁর কথায়, “আপনার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য নারী হিসেবেই আপনাকে পছন্দ করে। কেউ কেউ একটু ভালবাসেও।” তিনিও যে তার ব্যতিক্রম নন তা সাফ জানিয়েছেন নট। তাঁর মতে, নারীত্বই থ্যাচারের সাফল্যের মূল উৎস। অনেক ক্ষেত্রেই আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তা কোনও পুরুষ নেতা করতেন না। নটের মতে, থ্যাচারের জমানার আগে হুইপ মেনে চলত কনজারভেটিভ পার্টি। এখন কোনও সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে থ্যাচার যা ভাল মনে করেন তা-ই করেন। নটের মতে, এটাই অনেক ভাল পথ। নটের ইস্তফা অবশ্য গ্রহণ করেননি থ্যাচার। ফকল্যান্ডের যুদ্ধের সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনিই। ব্রিটিশ সামরিক অভিযানের ফলে পিছু হটে আর্জেন্তিনা। নটের ব্যক্তিগত চিঠির অবশ্য থ্যাচার কোনও জবাব দেননি।
|