টুকরো খবর
আরাধনায় বন্দিরা
চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে থেকেও পুজোর আনন্দে মাতবেন কোচবিহার সংশোধনাগারের বন্দিরা। এমন কী, ঢাক বাজানো থেকে মন্ডপসজ্জার কাজ সামলাবেন তাঁরাই। পুরোহিত আসবেন কোচবিহার মদনমোহন মন্দির থেকে। সবমিলিয়ে পুজো প্রস্তুতিতে এখন সরগরম গোটা সংশোধনাগার। জেল সুপার পল্লব চক্রবর্তী এ দিন বলেন, “জেল আবাসিকরাও যাতে উৎসবের আনন্দে সামিল হতে পারেন সে কথা মাথায় রেখেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তাতে সবুজ সংকেত দেওয়ায় একটি কমিটিও গড়া হয়েছে।” বর্তমানে বন্দির সংখ্যা ৩৫০। কমিটির উদ্যোগে বন্দিদের কয়েক জন বাঁশ, কাঠ, কাগজ, কাপড় দিয়ে জেলের ভিতরে হলঘরে মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব নিয়েছেন। এক জন ঢাক বাজানোর কাজ করবেন। কোচবিহার কুমোরটুলি প্রতিমার বায়না দেওয়া হয়েছে। জেল কর্মী ও বন্দিদের পরিজনেরা পুজোর খরচ সামলাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। পুজোর আনন্দে সামিল বন্দিদের জন্য থাকছে বিশেষ পেট পুজোর বন্দোবস্তও। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সপ্তমীতে মাছের ঝোল, ডাল, সবজি থাকছে। অষ্টমীতে খিচুড়ি, সবজি আর পাপড় ভাজা। নবমীতে ডাল, সবজির সঙ্গে দেওয়া হবে মাংস। আর দশমীতে থাকছে মিষ্টিমুখ।

প্রতিপদে শুরু হয় মিশ্র বাড়ির পুজো
রানি দাক্ষ্যায়নীর ইচ্ছায় সন্ন্যাস ছেড়ে ফিরে আসার পর জমিদারি লাভ করে পুজোর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জমিদার গোলকনাথ মিশ্র। সময়ের সঙ্গেই সেই পুজো সর্বজনীন হয়েছে। মালদহের চাঁচলের ডুমরো এলাকার মিশ্র বাড়ির ওই পুজো মহালয়ার পরদিন প্রতিপদে শুরু হয়। ঘট ভরে পুজো শুরু করাই রীতি সেখানে। সপ্তমী থেকে চার দিন ধরে জমজমাট মেলাও বসে মিশ্র বাড়ির পাশে। আর দশমীতে বিসর্জন পর্যন্ত ১০ দিন ধরে মেতে ওঠেন আশেপাশে ১০টি গ্রামের মানুষ। ১৬০ বছরের পুরনো পুজোকে ঘিরে শুধু ডুমরো নয়, মেতে ওঠেন সংলগ্ন কাপাসিয়া, মালকান, কৃষ্ণনগর সহ ১০টি গ্রামের বাসিন্দা। গোলকনাথ মিশ্রের প্রতিষ্ঠিত ওই পুজোয় আজও প্রায় দেড় শতকের পুরনো রীতি মেনে পুজো হয়। স্থায়ী মন্দিরে পুজো হয় একচালা প্রতিমার। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী বলির প্রথাও রয়েছে। জমিদার বাড়িতে পাত পড়ে ৮-৯ হাজার। মিশ্র পরিবারের সকলে হাজির হন চাঁচলে। সহদেব মিশ্র বলেন, “পুরোহিত বংশ পরম্পরায় পুজো করছেন। পুরোনো সব রীতিই বজায় রাখা হয়েছে।” মিশ্র বাড়ির পুজো কেন্দ্র করে পারিবারিক পুনর্মিলন সর্বজনীন আকার নেয়।

জখম নেতার মৃত্যু
জখম তৃণমূল নেতার মৃত্যু হল। শনিবার রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ওই নেতার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম তরণী রায় (৪১)। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সদর মহকুমার বাণেশ্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক ছিলেন তরণীবাবু। গত শুক্রবার তিনি বাইক দুর্ঘটনায় জখম হন। রাস্তায় অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে বাসিন্দারা হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁকে শিলিগুড়িতে স্থানান্তর করা হয়। কোচবিহার ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। রবিবার রাতে পৌঁছনোর পর দেহটি দাহ করা হয়।”

পুড়ে মৃত্যু স্ত্রী’র
অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পেটভাতা চন্দনচৌড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার স্বামীও অগ্নিদগ্ধ হয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম শীলা মুর্মু (২০)। তাঁর স্বামীর নাম কিশোর মুর্মু। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছুদিন ধরে গোলমাল চলছিল। তবে দুই জনে একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন না কী স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে স্বামী পুড়ে যান তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। জেলার পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “মহিলার মৃত্যু নিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।”

দশ দিনের পুজো
কাত্যায়নী বন্দনায় মাতল বালুরঘাট তহবাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার থেকে ১০দিন ব্যাপী কাত্যায়নীর পুজো শুরু হয়েছে। বসাকবাড়ির পুজো বলে পরিচিত এ পুজোয় দুর্গার এখানে ১৮টি হাত। আদালত কর্মী উদয় বসাকের বাড়িতে অনুষ্ঠিত এই পুজো এ বারে ১৩ বছরে পা দিল। উদয়বাবুর স্ত্রী অর্চনা রায় বসাক জানান, স্বপ্নাদেশে ১৮ হাতের দেবী দুর্গার কাত্যায়নী রূপ বাড়ির পুজো হলেও প্রতিবেশী যোগদানে দেবী কাত্যায়নী আজ সর্বজনীন হয়ে উঠেছেন।

ডুবে মৃত
সাঁতার কাটার সময়ে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া এলাকার একটি সরকারি সুইমিং পুলে। মৃত অমিক সাহা (১৬)-র বাড়ি রায়গঞ্জ মিলনপাড়ায়। রায়গঞ্জের দেবীনগর কৈলাসচন্দ্র রাধারানী বিদ্যাপীঠের ছাত্র অমিক এ দিন বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে ওই সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে নেমে কিছুক্ষণ পরেই তলিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি বুঝতে পেরে সুইমিং পুলের কর্মীরা এবং বন্ধুরা অমিককে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.