গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি দল। আর তার জেরেই পঞ্চায়েত ভোটে ফরওয়ার্ড ব্লকের ভরাডুবি হয়েছে। রবিবার নির্বাচনী ফল মূল্যায়ন করার পরে কার্যত এ কথাই স্বীকার করে নিলেন দলের নেতৃত্ব।
লোকসভা নিবার্চনের আগে জেলায় সংগঠন ঢেলে সাজার লক্ষ্যে আঞ্চলিক স্তরের নেতাদের নিয়ে একটি সাধারণ কর্মিসভা করল ফরওয়ার্ড ব্লক। সভায় দলের জেলা সম্পাদক তথা সাংসদ নরহরি মাহাতো-সহ রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব জয়ন্ত রায়, হাফিজ আলম সৈরানি উপস্থিত ছিলেন। তবে সশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও সভায় আসা কর্মীদের কাছে ভিডিওতে দলের রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষের বক্তব্য দেখানো হয়। নরহরিবাবু বলেন, “অশোকদার শারীরিক অবস্থা ততটা ভাল নয়। তিনি পুরুলিয়ায় আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরাই শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁকে এখানে আসতে বারণ করেছিলাম। তাই অশোকদা তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করে পাঠিয়েছেন।”
ভিডিও বক্তব্যে অশোকবাবু নিজে কতটা কৃচ্ছসাধন করে পুরুলিয়ায় দলের সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন, সে কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, “আমাদের পঞ্চায়েতে যে-সব পঞ্চুবাবুরা ক্ষমতায় আসবেন তাঁদের যদি দুর্নীতি স্পর্শ করে, তাহলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন আমরা তৈরি করেছি, তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।” যদিও পরবর্তীকালে তা-ই ঘটেছে দাবি করে এই বর্ষিয়ান ফব নেতা দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেছেন। এই অবস্থা থেকে দলকে ফের জনমুখী করতে তিনি কর্মীদের কয়েকটি নিদানও দিয়েছেন। নীচুস্তরে জনসংযোগ গড়ে তোলার জন্য ব্লকে ব্লকে ফুটবল প্রতিযোগিতা, নেতাজি চেতনা যাত্রা, নিবার্চনী প্রতীক আঁকার প্রশিক্ষণ শিবির করার পরামর্শ দিয়েছেন। সভায় উপস্থিত রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য ফের স্বীকার করে নিয়েছেন আঞ্চলিক বা ব্লক নেতৃত্বের দেওয়া রিপোর্টে ভুল ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হয়নি। পঞ্চায়েতগুলিতে দুর্নীতি বাসা বাঁধলেও দলীয় নেতৃত্ব তা ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে বলে ফব নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন। দলের বিপর্যয়ের পিছনে ওই ব্যর্থতাকেই তাঁরা দায়ী করেছেন। |