সকাল দেখে দিনটা কেমন যাবে তা আর আঁচ করা যাচ্ছে না।
পুজোর আগে শেষ রবিবার সকালটা পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় মোটামুটি পরিষ্কারই ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন এ দিন বাজারের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরে কেনাকাটা সেরে ফেলবেন। সকাল থেকেই তাই দুই জেলার বড় বাজারগুলিতে বেশ ভিড় দেখা যায়। কিন্তু দুপুর গড়াতেই আকাশের মুখ ভার হয়ে আসে। নামে বৃষ্টি। বাজার মাঝপথে থামিয়ে অনেকেই বাড়ির পথ ধরেন।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তামাম দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে এই দুই জেলাও ভিজছে। মার খাচ্ছে পুজোর বাজার। আকাশের মতোই তাই মুখ কালো ব্যবসায়ীদেরও। পুরুলিয়ার বরাকর রোডের বস্ত্র বিক্রেতা অশোর সারাওগি বলেন, “দুপুর পর্যন্ত বাজার ভালো জমেছিল। ভেবেছিলাম রাত পর্যন্ত কেনাকাটা এমনটাই চলবে। কিন্তু কপাল খারাপ। দুপুরের পরেই বৃষ্টি নামতেই দোকান প্রায় ফাঁকা।” |
পুজোর সময় বরাবার যে কাপড়গলিতে মানুষের মাথা ছাড়া কিছু চোখে পড়ে না। এ দিন বিকেলে সেখানেও রাস্তায় ছাতা মাথায় ক্রেতাদের দেখা গেলেও, সেই ভিড় ছিল না। এলাকার ব্যবসায়ী সমীর হালদার বলেন, “লাগাতার বৃষ্টির জন্য গ্রাম-গঞ্জের ক্রেতারা এ বার তেমন আসতে পারেননি। সন্ধ্যায় যে স্থানীয়রা আসেন, তাঁরাও আর বৃষ্টির জন্য বের হননি।” পুরুলিয়ায় বিকেলে বৃষ্টি নামে। সন্ধ্যায় বৃষ্টি নামে রঘুনাথপুর, কাশীপুর, আদ্রা এলাকায়। ফলে জেলার বড় বাজারগুলিতে এ দিন প্রত্যাশিত কেনাকাটা হল না।
পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা বাপন দত্ত এ দিন সকালে কিছু কেনাকাটা করেন। বলেন, “ভেবেছিলাম বিকেলে আবার বেরিয়ে আরও কিছু পোশাক কিনব। কিন্তু বৃষ্টির জন্য বের হতে পারলাম না। পুজোর আগে বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর-সর্দি হওয়ার ভয়ও তো রয়েছে!” তবে বৃষ্টির জন্য হাল ছাড়েননি ত্রিপুরা বাউড়ি, বাচ্চু বাউড়িরা। তাঁরা বলেন, “ভিজে ভিজেই বাজার সারতে হল। পুজোর তো আর বেশি দেরি নেই।” |
পুজোর সময় বরাবার যে কাপড়গলিতে মানুষের মাথা ছাড়া কিছু চোখে পড়ে না। এ দিন বিকেলে সেখানেও রাস্তায় ছাতা মাথায় ক্রেতাদের দেখা গেলেও, সেই ভিড় ছিল না। এলাকার ব্যবসায়ী সমীর হালদার বলেন, “লাগাতার বৃষ্টির জন্য গ্রাম-গঞ্জের ক্রেতারা এ বার তেমন আসতে পারেননি। সন্ধ্যায় যে স্থানীয়রা আসেন, তাঁরাও আর বৃষ্টির জন্য বের হননি।” পুরুলিয়ায় বিকেলে বৃষ্টি নামে। সন্ধ্যায় বৃষ্টি নামে রঘুনাথপুর, কাশীপুর, আদ্রা এলাকায়। ফলে জেলার বড় বাজারগুলিতে এ দিন প্রত্যাশিত কেনাকাটা হল না।
পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা বাপন দত্ত এ দিন সকালে কিছু কেনাকাটা করেন। বলেন, “ভেবেছিলাম বিকেলে আবার বেরিয়ে আরও কিছু পোশাক কিনব। কিন্তু বৃষ্টির জন্য বের হতে পারলাম না। পুজোর আগে বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর-সর্দি হওয়ার ভয়ও তো রয়েছে!” তবে বৃষ্টির জন্য হাল ছাড়েননি ত্রিপুরা বাউড়ি, বাচ্চু বাউড়িরা। তাঁরা বলেন, “ভিজে ভিজেই বাজার সারতে হল। পুজোর তো আর বেশি দেরি নেই।” |
একই অবস্থা বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, বড়জোড়ার বাজারেরও। বাঁকুড়ার বড়বাজারের রেডিমেড পোশাক বিক্রেতা অরূপ দত্ত, মলয় দে, বাপি দত্ত বলেন, “যখনই বাজার জমছে, তখনই বৃষ্টি নামছে। এ ভাবে কি ব্যবসা হয়! ক্রেতারা জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে ঘরমুখো হচ্ছেন।” তাঁদের আক্ষেপ, পুজোর মরসুমটাই নিম্মচাপের জন্য মার খেল। সমান আক্ষেপ ক্রেতাদেরও। বাঁকুড়া শহরের বধূ সঞ্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মৌসুমী ঘোষরা বলেন, “দুর্যোগের জন্য পুজোর কেনাকাটার ইচ্ছাটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাড়ির বাচ্চাদের বায়নার ঠেলায় যদি বা বের হচ্ছি, বৃষ্টির জন্য ফিরে আসতে হচ্ছে।” বিষ্ণুপুরের অবস্থাও একই। চকবাজারের তরুণী সুস্মিতা ঘোষ ছাতা মাথায় বাজার করছিলেন। তাঁর ক্ষোভ, “বৃষ্টিতে রাস্তায় প্যাচপ্যাচে কাদা হয়েছে। জামা-কাপড়ও ভিজে গিয়েছে। এই অবস্থায় পুজোর বাজার করা যায় না।” |