টুকরো খবর
কেশিয়াড়িতে সিপিএম কার্যালয় ভাঙচুর
সিপিএমের শাখা অফিস ও বাড়ি ভাঙচুর করে অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার কেশিয়াড়ি ব্লকের বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলবনি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ দিন রাতে কেশিয়াড়ি থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয় ও দলের সদস্য বিমল ভুঁইয়ার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম। যদিও এখনও কেউ ধরা পড়েনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্যের জন্য বিজয় মিছিল ছিল তৃণমূলের। সেই মিছিল সেরে ফেরার পথে বিমল ভুঁইয়ার বাড়ির সামনে জড়ো হন কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। এর পরেই তাঁর বাড়ির চালের একাংশ ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সিপিএমের শাখা কমিটির কার্যালয়টিও ভাঙচুর করে লুঠপাট করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। রাতে ওই শাখা কমিটির সদস্য অবধৌত পাত্র পুলিশের কাছে তৃণমূল নেতা পরিতোষ পড়িয়ারি, পূর্ণেন্দু ঘোষ, দুলাল ঘোষ-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। এ ছাড়াও বিমলবাবুর স্ত্রী কল্পনা ভুঁইয়া তৃণমূলের ওই ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করেন। অবধৌতবাবু বলেন, “প্রথমে পুলিশ ওই অভিযোগ নিতে চায়নি। তার পরে রবিবার সকালে ডায়েরি নম্বর দিয়েছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাতেই এই সন্ত্রাস।” কেশিয়াড়ির সিপিএমের জোনাল সম্পাদক ভবানী গিরির অভিযোগ, “বাংলা জুড়ে যে সন্ত্রাস চলছে তা এখানেও অব্যাহত। ওই এলাকায় আমাদের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি থেকে দোকান সর্বত্র ভাঙচুর চালাচ্ছে তৃণমূল।” যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাসের দাবি, “তৃণমূল কর্মীরা এই কাজ করেননি। ওই এলাকায় এতদিন সিপিএমের দাপট ছিল। ওঁদের সন্ত্রাসের জন্য ক্ষুব্ধ মানুষের অসন্তোষে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।”

লরি চালককে মার পুলিশের
তোলা দিতে অস্বীকার করায় এক লরির চালককে মারধর করার অভিযোগ উঠল রামনগর থানার এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শনিবার শঙ্করপুর থেকে একটি মাছ বোঝাই লরি দিঘা মোহনার দিকে আসার সময় পথে রামনগর থানার এএসআই তরুণ সিংহ লরিটি আটকান। তারপর তিনি ওই লরি চালকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। লরি চালক তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে লরি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে রামনগর থানায় বিক্ষোভ দেখান দিঘা মোহনার মাছ ব্যবসায়ী ও দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানান হয়। কাঁথির এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে সাময়িক ভাবে রামনগর থানা থেকে সরিয়ে কাঁথির এমারজেন্সি ফোর্স লাইনে পাঠানো হয়েছে।

পাঁশকুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে আহত ৬
তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে জখম হলেন ৬ জন। শনিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে পাঁশকুড়ার মাইশোরা গ্রামের মনসাপুকুর এলাকায়। আহতদের প্রথমে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। দু’জনকে পরে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া ব্লকের তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি পদে রয়েছেন মাইশোরা এলাকার বাসিন্দা সুজিত রায়। ওই এলাকারই বাসিন্দা কুরবান শাহ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস কার্যকরী সভাপতি। সুজিতবাবু বর্তমানে পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আর কুরবান মাইশোরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের এই দুই নেতার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এলাকায় দু’জনের অনুগামীদের মধ্যে প্রায়ই বিরোধ বাধে। শনিবার বিকেলেও তেমনটাই হয়। সংঘর্ষে সুজিত গোষ্ঠীর চার’জন ও কুরবান গোষ্ঠীর দু’জন আহত হয়েছেন।

ফুটবল ফাইনালে জয়ী বেলপাহাড়ি
ঝাড়গ্রাম প্লেয়ার্স কর্নার-এর উদ্যোগে নক-আউট সুপার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে বিজয়ী হল বেলপাহাড়ি একাদশ। রবিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউশনের মাঠে আয়োজিত ফাইনাল খেলায় কলকাতার দুখিরাম মজুমদার ফুটবল কোচিং টিমকে টাই-ব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে জয়ী হয় বেলপাহাড়ি একাদশ। ফাইনালে বিজয়ী ও বিজিত উভয় দলকে নগদ টাকা ও কাপ দেওয়া হয়। গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছিল পাঁচ দিনের আমন্ত্রণমূলক এই ফুটবল প্রতিযোগিতা। আয়োজক সংগঠনের সম্পাদক সৌমেন মাহাতো বলেন, “কলকাতার টিমকে হারিয়ে দিয়েছে বেলপাহাড়ির যুবকেরা। এই ঘটনাই প্রমাণ করে জঙ্গলমহল পিছিয়ে নেই।”

স্টেশনে মৃতদেহ
পাঁশকুড়া স্টেশন চত্বর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার দুপুরে স্টেশনের বুকিং কাউন্টার সংলগ্ন সিঁড়ির কাছে ওই মৃতদেহ পড়েছিল। বছর কুড়ির ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

কংগ্রেসের বিক্ষোভ
কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে কোলাঘাট থানায় বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।

ভরসা নৌকা

—নিজস্ব চিত্র।
ঘাটাল শহর জল জমে যায় ফি বর্ষায়। তখন যাতায়াতের ভরসা নৌকা। প্রশাসন কিছু নৌকাকে এই সময়টা ভাড়া নেয়, যেগুলি বিনা পয়সায় যাত্রী পারপার করে। ক’দিন ধরেই ঘাটাল পুরসভা-সহ আশপাশের শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন। সরকারি ভাবে তাই এখন ৭টি নৌকা চলছে শহরে। বেশ কিছু বেসরকারি নৌকাও রয়েছে। তবে বিনা পয়সায় যাতায়াত করা যায় বলে লোকজন সরকারি নৌকাতেই ভিড় জমায় বেশি। ফলে প্রচণ্ড চাপে থাকে সরকারি নৌকার উপর। তার উপর প্রশাসন ভাড়াও বাড়াচ্ছে না (প্রতি দিন ২২০০ টাকা)। নৌকার সংখ্যা ও ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে এ দিন আচমকাই সরকারি নৌকার মালিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে প্রশাসনের তরফে আরও তিনটি নৌকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে কর্মবিরতি ওঠে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.