দিনভর ব্যাহত বাস চলাচল |
চাতালে লরি আটকে বিপত্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ক্ষতিগ্রস্ত চাতালে লরি আটকে যাওয়ায় রবিবার দিনভর বাস চলাচল ব্যাহত হল কেশপুর-ঘাটাল ভায়া চন্দ্রকোনা রুটে। সমস্যায় পড়লেন বহু মানুষ। শেষমেশ বিকেলের দিকে ক্রেন দিয়ে আটকে যাওয়া লরি তোলা হয়। তবে, এই রুটে এখনই বাস চালাতে রাজি নন অধিকাংশ বাস মালিক। তাঁদের দাবি, আগে চাতাল ও চাতালের দু’দিকের রাস্তা সংস্কার করতে হবে। তারপরই এই রুটে বাস চালানো সম্ভব হবে। |
কেশপুরের ইছাইপুর চাতালে আটকে গাড়ি। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
এই দাবি নিয়ে এ দিন কেশপুরের বিডিও মহম্মদ জামিল আখতারের কাছে দরবার করেন বাস মালিকেরা। পরে বিডিও বলেন, “ইতিমধ্যে চাতালের দু’দিকের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। তবে, চাতালে প্রচুর জল রয়েছে। জল না-নামলে কাজ এগোতে সমস্যা হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”
কেশপুরের ইছাইপুরে একটি চাতাল রয়েছে। কেশপুর-ঘাটাল ভায়া চন্দ্রকোনা রুটে ওই রাস্তা দিয়ে দিনে ৪০ টিরও বেশি বাস চলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যার দিকে চাতাল পেরোনোর সময় দু’টি লরি এখানে আটকে যায়। এখন চাতালের উপর দিয়ে জলের স্রোত বইছে। কয়েক দিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। |
ক্ষীরাই নদীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন সাহড়দা গ্রাম। |
পাশাপাশি শুক্রবার সকালে ঝাড়খণ্ডের গালুডি জলাধার থেকে ১৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে ১ লক্ষ ৭১ হাজার এবং বুধবার সকালে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। তাতে সুবর্ণরেখা এবং কংসাবতীর জল বাড়ে। জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সমস্যার সমাধানে সব রকম চেষ্টা চলছে। আগে মোরাম-বোল্ডার দিয়ে রাস্তা সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু, তা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে।
ফলে কাজ করতে পারছে না পূর্ত দফতরও।
|
পুরনো খবর: বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন ফের ২০টি গ্রাম |
|