টুকরো খবর
ঝালদায় হাতির দলের তাণ্ডব, ক্ষতি ফসলের
এক দলছুটে রক্ষা নেই, দোসর ১৪ জন। ক’দিন ধরে একটি দাঁতাল হাতির ঝালদা এলাকায় উপদ্রব চালাচ্ছিল। সম্প্রতি আরও ১৪টি হাতি ওই এলাকায় ঢুকেছে। এখন ওই হাতিদের দৌরাত্ম্যে ঘুম ছুটেছে ঝালদা থানার ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া কলমা, পুস্তি, কনকপুর, হেঁসলা-সহ লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। বনদফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির ওই দলটি সপ্তাহ খানেক আগে হাজারিবাগের দিক ঝালদার কলমা এলাকায় ঢুকে পড়ে। বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা ওই গ্রামগুলির লাগোয়া খেতে আমন ধান, সব্জি নষ্ট করছে। ভাঙচুর করছে কাঁচা বাড়িঘরও। ঝালদার রেঞ্জার সমীর বসু জানিয়েছেন, এই দলটিতে একটি দাঁতাল ও দু’টি শাবক রয়েছে। এলাকায় উপদ্রব চালিয়ে দলটি বর্তমানে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি সীমান্তে হেঁসলা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, হাতির দল পাততাড়ি গোটানোর আগে এলাকায় ব্যাপক সব্জি ও ধান নষ্ট করেছে। বনকর্মীদের তাড়ায় দলটি হেঁসলার দিকে সরে গেলেও কলমায় এসে ঢুকেছে একটি দলছুট দাঁতাল। শনিবার রাতে দাঁতালটি কিরিবেড়া ও বকদ গ্রামে একাধিক কাঁচা বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। কলমার দিকে থেকে পুস্তি, কাঁটাডি, কনকপুরের দিকে ঢুকে এই গ্রামগুলিতেও তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে বড় দলটি। পুস্তির বাসিন্দা নিত্যানন্দ কুমার বলেন, “চোখের সামনে ধান সব্জি নষ্ট করছে। বন দফতরকে ক্ষতিপূরণের জন্য জানিয়েছি।” সমীরবাবু বলেন, “ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে হাতি তাড়ানোর কাজ ব্যহত হয়েছে। দলটি যেদিক থেকে ঢুকেছিল সেদিকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছি।” এ দিকে বন দফতরের পুরুলিয়া ডিভিশনের ডিএফও ওমপ্রকাশ বলেন, “গ্রামগুলিতে হাতির দলটি উপদ্রব চালাচ্ছে। কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব করা হচ্ছে।”

পুজো, ঈদ নিয়ে বৈঠকে সব দল
বিসর্জন শোভাযাত্রায় শব্দবাজির পাশাপাশি ডিস্ক জকি সাউন্ডবক্সের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হল মালদহের চাঁচলে। রবিবার চাঁচল থানায় সর্বদল বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারাও। পুজোর পরেই ঈদ। তা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে এ দিন পুলিশের তরফে ওই বৈঠক ডাকা হয়। ওই নিষেধ না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে। আইসি জয়ন্ত লোধ চৌধুরী বলেন, “শব্দ দূষণের পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এই ব্যবস্থা হয়েছে। বিধি না মানা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মূলত বিসর্জনের শোভাযাত্রায় প্রতি বছরই নিষেধ না মেনে ঢালাও শব্দ বাজির পাশাপাশি ডিস্ক জকি সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা হয়। শোভাযাত্রায় প্রতি বছরই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিশৃঙ্খলা এড়াতে উদ্যোক্তাদের স্বেচ্ছাসেবী রাখতে হবে বলেও কমিটিগুলিকে বলে দেওয়া হয়।

সাপ নিয়ে বই
সাপ নিয়ে নানা তথ্য-সহ বই প্রকাশ করল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রবিবার সকালে আলিপুরদুয়ার জংশন ইনস্টিটিউট হলে বই প্রকাশের অনুষ্ঠান হয়। সংগঠনের আলিপুরদুয়ার শাখার সম্পাদক শঙ্কর ধর জানান, স্থানীয় ২২ প্রজাতির সাপের ছবি ও তথ্য রয়েছে বইটিতে। সাপ কাটলে কী কী করতে হয়। বন কর্মী বা পরিবেশ প্রেমীরা কী ভাবে সাপ ধরবেন। সেই সব তথ্য বইটিতে রয়েছে। বইটি প্রকাশ করেন ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারি। উপস্থিত ছিলেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা রবীন্দ্র পাল সাইনি।

ধৃত চার পাচারকারী
গ্যালিফ স্ট্রিটে পাখির বাজার থেকে রবিবার উদ্ধার হল ১১টি টিয়া, ৮টি ময়না ও একটি দুর্লভ পাহাড়ি ময়না। গ্রেফতার হয়েছে মহম্মদ হুসেন, মহম্মদ ইসলাম ও মহম্মদ রাজা ও সোনম খাতুন নামে চার জন। বন দফতরের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (ওয়াইল্ড লাইফ হেডকোয়ার্টার্স) এস কুনালদাইবেন বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে এই পাচার চক্রকে ধরার চেষ্টা হচ্ছিল।”

পুরনো খবর:
সাপের ছোবলে মৃত্যু
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক বালিকার। নাম রাখী দোলই (১০)। বাড়ি ঘাটাল থানার রঘুনাথচকে। শনিবার রাতে বাড়িতেই রাখীকে ঘুমন্ত অবস্থায় একটি বিষধর সাপ কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

মিলল রেহাই
বৃক্ষরোপণ সংক্রান্ত কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি ফাঁস করে দিয়েছিলেন আইএফএস অফিসার সঞ্জীব চতুর্বেদী। হরিয়ানায় ২০০৯ সালের এই ঘটনায় বন দফতরের ৫ অফিসার-সহ ৪০ জন সাসপেন্ড হন। কিন্তু এর পরেই শুরু হয় সমস্যা। সঞ্জীবকে বদলি করে দেওয়া হয়। দু’ দু’বার তাঁর বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগ আনে হরিয়ানার কংগ্রেস সরকার। ২০১১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল সঞ্জীবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দেন। কিন্তু ফের গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে হরিয়ানা। বিভাগীয় চার্জশিটে বলা হয়, সঞ্জীবের অসহযোগিতার জন্যই রাজ্যে বৃক্ষরোপণের জন্য কেন্দ্রের দেওয়া টাকা ফেরত গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির অফিস সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.