দশ দিনের মাথায় ফের এক হস্তিনীর মৃত্যু হল।
রবিবার সকালে গোয়ালতোড়ের মহালিশাই রেঞ্জের খাপরিভাঙা জঙ্গলে ছাতু ও পাতা কুড়োতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আনুমানিক ২০-২৫ বছরের একটি হস্তিনীকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। গত শুক্রবারই গভীর রাতে গড়বেতার ধাদিকা বিটের অধীন কেষ্টপুরে ধান খেতে নেমে ধানের সঙ্গে বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের তার চিবিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক হস্তিনীর মৃত্যু হয়েছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দু’দুটি হাতির মৃত্যু হওয়ায় উদ্বিগ্ন বন দফতরের কর্তারা। বন দফতরের ডিএফও (রূপনারায়ন) রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “ওই হস্তিনীটি অসুস্থ ছিল। গড়বেতা থেকে আমরা ওই হস্তিনীর উপর নজর রাখছিলাম। তখনই একটু অস্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করছিল। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে হাতিটির শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। নাক ও কান দিয়ে রক্তও বেরিয়েছে। সব কিছুই আমরা খতিয়ে দেখছি।” |
বন দফতর সূত্রের খবর, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে দলমার একটি হাতির দল শিলাবতী নদী পেরিয়ে গড়বেতা রেঞ্জের ধাদিকা ও সংলগ্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। ১০০-১২০টি হাতি রয়েছে পালে। প্রায় দিন ছ’য়েক ধরে গড়বেতা, আমলাগোড়া, হুমগড় রেঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে ওই পালটি ধান, সব্জির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “গড়বেতা ও গোয়ালতোড় মিলিয়ে প্রায় ৩৫০-৪০০ বিঘা জমির ধান নষ্ট করেছে বাঁকুড়া থেকে আসা হাতির পালটি। এছাড়া সব্জিরও ব্যাপক ক্ষতি করেছে।” ৪ অক্টোবর ওই পালটি হুমগড় হয়ে গোয়ালতোড়েরই মহালিশাই রেঞ্জের জিরাপাড়া, খাপরিভাঙা, দুলিয়া, ছাগুলিয়া, বাতানতোড়, কেরুমারা-সহ প্রায় ১৫-২০টি গ্রামে ধান ও সব্জির ক্ষয়ক্ষতি করে খাপরিভাঙা জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। ৫ অক্টোবর ওই জঙ্গল থেকে পালটি গোয়ালতোড় রেঞ্জের পিংবনী হয়ে সংলগ্ন দুধপোতরি ও কদমডিহার গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। এখনও ওই দুই জঙ্গলেই হাতিগুলি রয়েছে। দফতরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি পালটিকে ময়ূরঝর্নার দিকে পাঠিয়ে দিতে।” |