|
|
|
|
স্মৃতি উসকানোর খোয়াইশ
সেই ‘হাজারো খোয়াইশে অ্যায়সি’র দশে দশ পূর্তি উদযাপন হবে এই শহরেই। খোঁজ দিলেন সংযুক্তা বসু |
এই রকমই হাজারো আকাঙ্ক্ষা...উর্দুতে মির্জা গালিবের ভাষায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘হ্যজারো খোয়াইশে অ্যায়সি।’ নকশাল আন্দোলনের দুনিয়াকে বদলে ফেলার আবেগ নিয়েই বলিউডে ২০০৩ সালে তৈরি হয়েছিল সুধীর মিশ্র পরিচালিত এই ছবি। দুই যুবক এবং এক যুবতীর গল্প। যারা পালটে ফেলতে চেয়েছিল সমাজের পরিকাঠামো। তিন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কে কে মেনন, শাইনি আহুজা ও চিত্রাঙ্গদা সিংহ। ছবির পটভূমি ছিল বিহার। তার পর কেটে গেছে দশটা বছর।
যেহেতু বাংলাই নকশাল আন্দোলনের অন্যতম উৎসস্থল, তাই এই ছবির দশ বছর পূর্তি উৎসব উদযাপন হবে এই কলকাতাতেই। ১৯ অক্টোবর পার্পল মুভিটাউনে। |
|
পরিচালক বললেন, “কলকাতার সঙ্গে এই আন্দোলনের যোগাযোগ বরাবরের। তাই ‘হাজারো খোয়াইশে অ্যায়সি,’ নিয়ে যখন একটা অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হয়, কলকাতার নামটাই প্রথমে মনে আসে। আমার ছবির প্রযোজক প্রীতীশ নন্দীও কলকাতার মানুষ। তা ছাড়া এ শহর অন্য স্বাদের ছবি পছন্দ করে।”
সত্যিই তো তাই, এই বাংলায় তো যৌবন বারবারই বিদ্রোহ করেছে। কখনও তা সূর্য সেন, কখনও বা বিনয়-বাদল-দীনেশ, কখনও বা সুভাষচন্দ্র বসু।
তাঁদের বিপ্লব আর বিদ্রোহের ভাষা ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তরসূরিদের মধ্যেও। নকশাল আন্দোলনের আগুনে পুড়েই পশ্চিম বাংলার গ্রাম-নগরের দেওয়াল লিখনে সোচ্চার হয়ে ওঠে চারু মজুমদার, কানু সান্যালদের নাম। সোচ্চার হয় এই সব স্লোগান ‘বন্দুকের নলই শক্তির উৎস,’ ‘সত্তরের দশক মুক্তির দশক।’
পার্পল মুভি টাউনের কর্ণধার প্রীতিময় চক্রবর্তী বললেন, “ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউট ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের তরুণ ছাত্রছাত্রীদের। তাঁরা পরিচালক ও আমন্ত্রিত অভ্যাগতদের ছবি নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন। জানাতে পারবেন তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির কথাও।” অনুষ্ঠানে আসবেন ছবির পরিচালক-সহ শিল্পী চিত্রাঙ্গদা সিংহ ও কে কে মেনন।
প্রশ্ন একটাই। আজকের ভোগবাদী, ‘ভারচুয়াল রিয়েলিটি’র যুগে ‘হাজারো খোয়াইশে অ্যায়সি’ নিয়ে এই উদযাপন কি উসকে দিতে পারবে আগুনের স্ফুলিঙ্গ? না কি আজকের সমাজ এ সবের তোয়াক্কাই করে না! |
|
|
|
|
|